বাংলাদেশের সংকটকালীন পরিস্থিতিতে সব সময়ই পাশে আছে চীন: রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, ‘আমরা পরস্পরের বন্ধু। আমরা সব সময় একে অপরের পাশে ছিলাম। যখনই সংকট হয়েছে, চীন বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। তিন বছর আগে কোভিড-১৯ মহামারির সময় চীন বাংলাদেশকে সহযোগিতা করেছে। বাংলাদেশ বর্তমানে ডেঙ্গুর খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে চীনের অবশ্যই তাদের জন্য কিছু করা উচিত। এরই ধারাবাহিকতায় ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট দেওয়া হলো।’
আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে সাভারের বেসরকারি এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। তিনি ওই অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এবং এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান এনামুর রহমানের কাছে এসব কিট হস্তান্তর করেন।
চীনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ করে প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন চীন সরকার। এই সংকট মোকাবিলায় চীন বাংলাদেশকে ৩ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহযোগিতা দেবে। এরই ধারাবাহিকতায় চীনা দূতাবাস এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭০০ সেট ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট দিয়েছে। এসব কিট দিয়ে ১৮ হাজারের বেশি মানুষের ডেঙ্গু পরীক্ষা করা যাবে। আগামী সপ্তাহে চীন ডেঙ্গু পরীক্ষার আরও কিট পাঠাবে।
চীনের রাষ্ট্রদূত দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, চীন বাংলাদেশের মানুষ ও জনগণকে সব সময় সহযোগিতা করেছে। চীন ও বাংলাদেশের জনগণ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মধ্য দিয়ে উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছে।
ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট হস্তান্তর উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, ‘চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ডেঙ্গুতে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। এরই ধারাবাহিকতায় এই প্রথম ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হস্তান্তর করা হলো। এরপর আরও আসবে। পর্যায়ক্রমে এগুলো বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে দেওয়া হবে।’
বিনা মূল্যে পাওয়া এসব কিট দিয়ে কীভাবে সেবা দেওয়া হবে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এগুলো বিতরণে সরকারের নীতিমালা রয়েছে। এগুলো কীভাবে হস্তান্তর করা হবে, এটা কি বিনা মূল্যে নাকি কোনো ফি নেওয়া হবে, এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
অনুষ্ঠানে চীনের দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি লি জিয়ান, ল্যাং ল্যাং ও জিং চ্যান, এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ারুল কাদের নাজিমসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।