হবিগঞ্জে পুকুর দখলের অভিযোগে ৪ ব্যক্তিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পরিবেশ অধিদপ্তরের
হবিগঞ্জ শহরে ২০০ বছরের পুরোনো পুকুর ভরাট করে দখলের অভিযোগে চার ব্যক্তিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তরের হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয়। নোটিশে সাত কার্যদিবসের মধ্যে অভিযুক্তদের কাছে পুকুর ভরাটের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, উল্লেখিত ব্যক্তিরা বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত-২০১০) লঙ্ঘন করে পরিবেশদূষণ ও প্রতিবেশব্যবস্থার ক্ষতিসাধন করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা আগামী সাত কার্যদিবসের ভেতরে জানতে চাওয়া হয় অভিযুক্তদের কাছে। পাশাপাশি পুকুর ভরাটের সব কার্যক্রম থেকে তাঁরা যেন বিরত থাকেন, সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপরিচালক আখতারুজ্জামান টুকু স্বাক্ষরিত এ–সংক্রান্ত চিঠি আজ রোববার অভিযুক্তদের কাছে পৌঁছানো হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
‘২০০ বছরের দৃষ্টিনন্দন পুকুর দখলের অভিযোগ’ শিরোনামে গতকাল শনিবার প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে বলা হয়, হবিগঞ্জ শহরের গোপীনাথপুর এলাকায় ১ একর ৫৩ শতক আয়তনের একটি পুকুর রয়েছে। এ পুকুরের চার পাড়ের বসবাসরত ৪০ থেকে ৫০টি পরিবারের মালিকানাধীন এটা। পুকুরের চারপাশে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের বসবাস। এলাকাবাসীর অভিযোগ সম্প্রতি শহরের রাধানগর এলাকা কয়েকজন বাসিন্দা পুকুরের দক্ষিণ-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্ব পাড়ে মাটি ফেলে দখল করে নিয়েছেন পুকুরের একাংশ। এতে পুকুরপাড়ের বাসিন্দারা বাধা দেন। কিন্তু সেই বাধা উপেক্ষা করে রাতের আঁধারে মাটি ফেলা হচ্ছে পুকুরে।
প্রতিবেদন প্রকাশের পর ওই দিন পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা পুকুরটি পরিদর্শন করেন। তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রমাণ পান শহরের গোপীনাথপুর এলাকার বাসিন্দা আবদুল কালাম, আবদুস সালাম ও অমূল্য চন্দ্র দাস এবং চৌধুরী বাজার এলাকার বাসিন্দা শংকর পাল এ পুকুর ভরাট করে জায়গা দখল করেছেন।
অধিদপ্তরের পরিদর্শক শ্রী হরিপদ চন্দ্র দাশ আজ রোববার প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই চার ব্যক্তি পুকুরে মাটি ফেলে ভরাট করেছেন তার প্রমাণ পেয়েছেন। পাশাপাশি প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদন তাঁরা আমলে নিয়ে তদন্তকাজ পরিচালনা করছেন।