সিদ্ধিরগঞ্জে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানাছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানাসহ আওয়ামী লীগের ১১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে সিদ্ধিরগঞ্জে গুলিবিদ্ধ হওয়া মো. হোসাইন আহম্মেদকে (২০) হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলাটি করা হয়।

গতকাল বুধবার রাতে হোসাইন আহম্মেদ বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ্ আল মামুন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। হোসাইন রাজধানীর ডেমরার দক্ষিণ টেংরা সারুলিয়া এলাকার মৃত আবু তাহেরের ছেলে।

মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন নারায়ণগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, মাহবুবুর রহমান, শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া প্রমুখ। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৯০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ঘিরে হতাহতের ঘটনায় জেলার বিভিন্ন থানায় ২২টি হত্যাসহ মোট ২৮টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ১৮টি হত্যাসহ ১৯টি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আসামি করা হলো।

মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, গত ৫ আগস্ট বেলা তিনটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড কোল্ড স্টোরেজ এলাকায় তিনিসহ ছাত্র-জনতা একত্র হয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছিলেন। এ সময় আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র, ককটেল, দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে হামলা করেন। প্রথমে আসামিরা তাঁদের সঙ্গে থাকা কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক তৈরি করেন। পরে লাঠিসোঁটা, রামদা, আগ্নেয়াস্ত্রসহ ছাত্র-জনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করেন। তিনি প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে পালানোর সময় পাঁচ থেকে ছয়জন আসামি ঘিরে ধরেন। এ সময় আসামি শাহ আলম, আশরাফ, মজিবর, মহসিন ও মামুন আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে তাঁর ডান হাতের বাহুতে একের পর এক গুলি ছোড়েন। এতে ডান হাতের হাড়, মাংস ও রগ শরীর থেকে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। পরে মৃত ভেবে বাদীকে ফেলে চলে যান আসামিরা। আশপাশের লোকজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে গেলে অস্ত্রোপচারের পর ডান হাতের কিছু অংশ কেটে ফেলতে হয়।