রংপুরে বৃষ্টি হয়নি, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার ওপরে

তিস্তা নদীতে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আজ রোববার রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার ছালাপাক এলাকায়ছবি: প্রথম আলো

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে আজ রোববার তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি না হলেও তিস্তা নদীর পানি বাড়ছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ছয়টায় পানি বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পরে পানি বাড়তে থাকে। রাত ১১টায় পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। আজ সকাল ছয়টায় পানি বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

পাউবো বলছে, রংপুরের কাউনিয়ায় পানি বাড়লেও লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারাজে সেই অনুপাতে পানি বাড়েনি। সেখানে আজ সকাল ছয়টায় বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

কাউনিয়া এলাকায় নদীর পানি বাড়ায় তিস্তার চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলে কিছুটা পানি বেড়েছে। এসব এলাকা প্লাবিত হলেও আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিস্তা নদীর পানির উচ্চতা কমে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে, পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এমনটাই বলছে।

এদিকে বৃষ্টি না হলেও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পানি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রংপুরের তিস্তা তীরবর্তী তিন উপজেলা কাউনিয়া, পীরগাছা ও গঙ্গাচড়া এলাকার নদীপারের মানুষ সতর্ক অবস্থায় আছেন।

কাউনিয়ার নদীতীরবর্তী এলাকা বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আনসার আলী বলেন, ‘রাতের মধ্যে পানি বেড়েছে। তবে কোনো বৃষ্টি হয়নি। এরপরও নদীপারের মানুষজনকে সাবধানে থাকতে বলা হয়েছে।’

গঙ্গাচড়ার লক্ষ্মীটারী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল্লাহেল হাদী বলেন, পানি বাড়া-কমা নিয়ে নদীপারের মানুষের অভিজ্ঞতা আছে। চরাঞ্চলে সামান্য পানি উঠলেও ভয়ের কিছু নেই। এই পানি নেমেও যাবে।

পাউবোর রংপুর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহসান হাবিব বলেন, পানি বাড়লেও এই পানি নেমে যাবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নদীর পানির সমতল হ্রাস পেয়ে পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।