সাবেক সংসদ সদস্য লতিফের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটার আঘাতে সাইফুল ইসলাম নামের এক যুবককে হত্যার মামলায় চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলাম শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, কোতোয়ালি থানার একটি হত্যা মামলায় এম এ লতিফকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ৩০ অক্টোবর এই মামলায় লতিফকে গ্রেপ্তার দেখান আদালত।

আদালত সূত্র জানায়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা নগরের কোতোয়ালি থানার নিউমার্কেট এলাকায় এক দফা আন্দোলনে জড়ো হন। ওই সময় এম এ লতিফের নির্দেশে আসামিরা সাইফুল ইসলামসহ আন্দোলনে অংশ নেওয়াদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত সাইফুলকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৯ সেপ্টেম্বর। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাইফুল মারা যান। এই ঘটনায় মঈন উদ্দিন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।

কোতোয়ালি থানা-পুলিশের করা রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, সাবেক এমপি এম এ লতিফ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কঠোর বিরোধী ছিলেন। ছাত্র আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে ষড়যন্ত্রের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে ছিলেন তিনি। তিনি তাঁর সমর্থক ও দলীয় নেতা-কর্মীদের দিয়ে ঘটনার দিন ৪ আগস্ট নগরের নিউমার্কেট থেকে টাইগারপাস এলাকায় ছাত্র আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালান।

এদিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এম এ লতিফকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়।

এর আগে ১৭ আগস্ট চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালত নগরের ডবলমুরিং থানায় গুলি করে জখম ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় করা আরেকটি মামলায় এম এ লতিফের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। ১৭ আগস্ট সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে বায়েজিদ বোস্তামী মাজার এলাকা থেকে এম এ লতিফকে গ্রেপ্তার করা হয়।