বগুড়ায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হত্যায় দুই আসামির যাবজ্জীবন

আদালতপ্রতীকী ছবি

বগুড়ায় আওয়ামী লীগের নেতা ও গাবতলী উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান তারাজুল ইসলামকে গুলি করে হত্যাকাণ্ডে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বগুড়ার জ্যৈষ্ঠ দায়রা জজ শাহজাহান কবির এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত ব্যক্তিরা হলেন তারাজুলের গাড়িচালক ও গাবতলী উপজেলার আটবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন এবং মো. মানিক। বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়া আদালতের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন জানান, রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা যায়, বগুড়া শহরের রহমাননগর এলাকায় সপরিবার বসবাস করতেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও গাবতলী উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারাজুল ইসলাম। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি ব্যবসা করতেন।

২০১৬ সালে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে তিনি ওই ইউপির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে একই বছরের ৮ জুলাই নিজ গ্রাম আটবাড়িয়ায় ঘুরতে যান তিনি। ওই রাতে শোবার ঘরের জানালা দিয়ে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তারাজুলকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে এবং পরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে আবার বগুড়ার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় ৩১ জুলাই তাঁর মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় তারাজুলের স্ত্রী লায়লা আরজুমান্দ বানু গাবতলী মডেল থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। পরে তাঁর গাড়িচালক বেলালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হত্যার ঘটনায় তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে হেলালসহ দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।