রাজশাহীতে কুড়িয়ে পাওয়া ১৭ লাখ টাকা থানায় জমা দিলেন শিক্ষার্থীরা

রাজশাহীতে শিক্ষার্থীরা কুড়িয়ে পাওয়া ১৭ লাখ ৯২ হাজার টাকা নগরের বোয়ালিয়া থানায় জমা দিচ্ছেন। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকেছবি: প্রথম আলো

রাজশাহীতে কুড়িয়ে পাওয়া ১৭ লাখ ৯২ হাজার টাকা ও একটি ধাতব বস্তু থানায় জমা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। ধাতব বস্তুটি স্বর্ণকারকে দিয়ে পরীক্ষা করে পিতল বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

আজ রোববার ভোর পাঁচটার দিকে নগরের ভদ্রা এলাকার একটি গলির ভেতর ব্যাগভর্তি এই টাকা পড়ে ছিল। সেগুলো কুড়িয়ে পাওয়ার পর বেলা ১১টার দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী নগরের বোয়ালিয়া থানায় গিয়ে জমা দেন। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামসুল আলম ও সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার ইকবাল হোসেন থানায় উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের উপস্থিতিতে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদ পারভেজ টাকাগুলো গ্রহণ করেন।

থানায় টাকা জমা দিতে এসেছিলেন নাটোরের সিংড়ার রহমত ইকবাল ডিগ্রি কলেজের আকাশ আলীসহ ১০ থেকে ১২ জন শিক্ষার্থী। তাঁদের বাড়ি নগরের ভদ্রা এলাকায়।
শিক্ষার্থী আকাশ আলী বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য তাঁরা রাতভর নগরের ভদ্রা এলাকায় অবস্থান করেন। রাতের দায়িত্ব শেষে তাঁরা ভোরে বাসায় ফিরছিলেন। তখন এলাকার একটি ছাত্রাবাসের সামনে একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন। ব্যাগটিতে লাথি দিলে তাঁরা বুঝতে পারেন ভেতরে কিছু আছে। তখন ব্যাগটি খুলে দেখেন ভেতরে ১০০০ টাকার নোটের ১৮টি বান্ডিল। মোট টাকার পরিমাণ ১৭ লাখ ৯২ হাজার। ব্যাগে তাঁরা সোনালি রঙের একটি ধাতব বস্তুও পান। ধাতব বস্তুটিতে ১৮টি ছিদ্র আছে। এটি কোনো সংকেত বলে তাঁরা ধারণা করছেন। পরে তাঁরা থানায় এসে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সবকিছু জমা দিয়েছেন।

বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদ পারভেজ বলেন, আদালতের অনুমতি নিয়ে টাকাগুলো এখন রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হবে। আর ধাতব বস্তুটি পিতলের। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে স্বর্ণকারের সনদ নিয়ে আসা হয়েছে। পাশাপাশি এই টাকার মালিক কে, এগুলো অবৈধ টাকা কি না কিংবা কোনো অপরাধী এ টাকা বহন করার সময় পড়ে গেছে কি না, তা তদন্ত করা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।