চলন্ত বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করেছে পুলিশ
কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা চলন্ত বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করতে পেরেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে তিন–চারজন টাঙ্গাইল জেলার ও বাকিরা বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। তবে তাঁরা বসবাস করেন গাজীপুর, চন্দ্রা ও সাভার এলাকায়। বৃহস্পতিবার রাতে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
এই চক্রের অন্যতম সদস্য রাজা মিয়াকে গোয়েন্দা পুলিশ বৃহস্পতিবার ভোরে গ্রেপ্তার করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজা মিয়া ডাকাতি ও ধর্ষণে অংশ নেওয়া সবার নাম–পরিচয় প্রকাশ করেছেন। ঘটনার দিন ঈগল এক্সপ্রেস নামে গাড়ির চালককে সরিয়ে ডাকাত দল বাসের নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে রাজা মিয়া ডাকাতি ও ধর্ষণ চলাকালে বাস চালিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, রাজা মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্র এর আগে আর কোথায় কোথায় এ ধরনের অপরাধ করেছে এবং কত সদস্য এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত, এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত রাজাকে প্রথমে চিহ্নিত করা হয়। টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের মধুপুরের রক্তিপাড়ায় বাসটি রাত তিনটার পর খাদে পড়ে যায়। ওই এলাকার মোবাইল টাওয়ারে ঘটনার পর কোন কোন নম্বর থেকে কোথায় ফোন করা হয়েছে, তার সন্ধান করা হয়। সেখানে একটি নম্বর থেকে বেশ কয়েকটি নম্বরে ফোন করার তালিকা পাওয়া যায়। বিভিন্ন নম্বরে ফোন করা নম্বরটি অনুসন্ধান করে গোয়েন্দা পুলিশ জানতে পারে, সেটি রাজা মিয়ার। রাজা মিয়া যেসব নম্বরে ফোন করেছিলেন, তাঁদের ছবি সংগ্রহ করে গোয়েন্দা পুলিশ। সেসব ছবি গাড়িটির ডাকাতির শিকার হওয়া যাত্রী ও বাসের মধ্যে ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীকে দেখানো হয়। তাঁরা রাজা মিয়াসহ বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করেন।
জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এক বছরের মধ্যে এই মহাসড়কে ডাকাতির কোনো ঘটনার ব্যাপারে মামলা হয়নি। তাই এই চক্র এর আগে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ডাকাতের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের জন্য একাধিক দল মাঠে কাজ করছে। অন্যরা গ্রেপ্তার হলে এ চক্রের বিষয়ে আরও জানা যাবে।