কোটা সংস্কার আন্দোলনে সন্তানদের সম্পৃক্ত না হতে অভিভাবকদের প্রতি আওয়ামী লীগের অনুরোধ

শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষে শোক মিছিল বের করে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট নগরের কোর্টপয়েন্ট এলাকায়ছবি: আনিস মাহমুদ

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সন্তানদের সম্পৃক্ত না হতে অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নগরের রেজিস্টারি মাঠে এক সমাবেশে তাঁরা এ অনুরোধ জানান। নেতাদের দাবি, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে সন্ত্রাসীরা রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপ দিয়েছে। সাধারণ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ঢুকে জামায়াত-বিএনপি দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে।

শোকের মাস আগস্টের প্রথম দিনে আজ সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শোকমিছিল বের করা হয়। সেই মিছিল নগরের চৌহাট্টা এলাকা থেকে কোর্টপয়েন্ট এলাকা হয়ে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। সমাবেশে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ সভাপতিত্ব করেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন খানের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও তাদের দোসররা হাইজ্যাক করে সেটাকে সরকার পরিবর্তনের আন্দোলনে রূপ দিতে চায়। তাদের সেই হীনচক্রান্ত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সফল হতে দেবেন না। কোটা সংস্কার আন্দোলনের ওপর ভর করে বাংলাদেশে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, আসলে এটা কোনো রাজনৈতিক ঘটনা নয়। এটা সম্পূর্ণ জঙ্গিবাদী কাজ। দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধকে লক্ষ্য করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতের জঙ্গিবাদী আন্দোলন এটা। আওয়ামী লীগ যেকোনো মূল্যে এটা প্রতিহত করবে।

বক্তারা আরও বলেন, আগস্ট মাস এলেই ঘাতক চক্রটি পুরোনো রূপ প্রকাশ করে। দেশবিরোধী চক্রটি এখন দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। তবে আগস্টের শোককে শক্তিতে পরিণত করে সব ধরনের অপশক্তিকে প্রতিহত করবে আওয়ামী লীগ।

এ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর) আসনের সংসদ সদস্য রঞ্জিত চন্দ্র সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আশফাক আহমদ, শাহ ফরিদ আহমদ, নিজাম উদ্দিন ও শাহ মো. মোসাহিদ আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, আবদুল খালিক, বিজিত চৌধুরী, নুরুল ইসলাম পুতুল, প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য, মো. সানাওর, জগদীশ চন্দ্র দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।