ভোটের পরদিন রাজশাহীতে দেড় ঘণ্টা ফাঁকা ছিল নির্বাচন কার্যালয়
রাজশাহী সিটি নির্বাচনের পরের দিন আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী নির্বাচন ভবনে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কেউ ছিলেন না। তাঁরা বেলা তিনটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত বাইরে ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাঁরা একযোগে সবাই একটি রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন। তখন নির্বাচন ভবনের কলাপসিবল গেট লাগানো ছিল। কেউ কাজে গেলে পুলিশের এক সদস্য তাঁদের বিকেল পাঁচটার পর আসতে বলেন।
নির্বাচন ভবনের তিনতলায় রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, দ্বিতীয় তলায় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নিচতলায় রাজশাহী নগরের কয়েকটি থানার নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ওই ভবনে ঢুকতে গেলে পুলিশের এক সদস্য মজা করে বলেন, ‘ভেতরে আমরা (পুলিশ) ছাড়া একটা ভূত-প্রেতও নাই।’ তিনি বলতে পারেননি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোথায় গেছেন।
নির্বাচন ভবনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী একসঙ্গে দুপুরে যে রেস্তোরাঁয় খেতে যান, সেই রেস্তোরাঁয় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোট ৬৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী একসঙ্গে খেতে যান। এ ছাড়া আরও ৭ জনের খাবার পার্সেল করে নেওয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার রাজশাহী সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আজ নির্বাচনসংক্রান্ত তথ্যের জন্য সাংবাদিকসহ অনেকেই নির্বাচন ভবনে যান। তবে ওই সময় তাঁরা কাউকে না পেয়ে ফিরে আসেন। এমনকি কার্যালয়ে কেউ না থাকার কারণে ভেতরেও ঢুকতে পারেননি। রেস্তোরাঁয় খাওয়ার পর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কার্যালয়ে ফেরেন।
ওই কার্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, প্রতিটি কেন্দ্রের ফলাফল একসঙ্গে করে দ্রুত পাঠিয়ে ঢাকায় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সেই কাজ সম্পন্ন হয়নি। অনেকেই এ তথ্যগুলো পাননি।
এ বিষয়ে কথা বলতে রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেনকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আজাদুল হেলাল বলেন, ‘দুই মাস টানা কাজ করে সিটি নির্বাচনের মতো একটা বড় কাজ আমরা করলাম। তাই সবাই মিলে দুপুরে একসঙ্গে খেলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটা কারও দাওয়াত ছিল না। অফিসেরই আয়োজন। পিয়ন থেকে কর্মকর্তা—সবাই ছিলেন। ভোটের জন্য অন্য জেলা থেকে যে কর্মকর্তারা এসেছিলেন, তাঁরাও ছিলেন।’