বরগুনা সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের দোয়ার আয়োজন, ১৪৪ ধারা জারি
বরগুনা সরকারি কলেজ এলাকায় আজ শুক্রবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। কলেজে জেলা ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ একই সময়ে দোয়া মাহফিলের আয়োজনের ঘোষণা দেওয়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিঘ্নিতের আশঙ্কায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বরগুনা সদর থানার পরিদর্শক (ওসি) আলী আহম্মেদ ১৪৪ ধারা জারির তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বরগুনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শুভ্র দাস স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, বরগুনা ছাত্রলীগের নবগঠিত সভাপতি মো. রেজাউল কবির রেজা এবং সাধারণ সম্পাদক তৌশিকুর রহমান ইমরানের নেতৃত্বে আজ বিকেল চারটায় বরগুনা সরকারি কলেজে দোয়া অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা রয়েছে। অন্যদিকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদবঞ্চিত ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. সবুজ মোল্লার নেতৃত্বে একই স্থানে বিকেল পাঁচটায় দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজনের কথা রয়েছে। দুই পক্ষ একই স্থানে একই সময়ে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করলে নেতা-কর্মীদের মুখোমুখি অবস্থান, বিশৃঙ্খলা, মারামারিসহ অপ্রীতিকর ঘটনা এবং আইনশৃঙ্খলার বিঘ্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে ৫ আগস্ট বরগুনা সরকারি কলেজসহ আশপাশে এলাকায় ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৪৪ ধারা জারি করা হলো। ওই এলাকায় সব প্রকার সভা–সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।
বরগুনা সদর থানার ওসি আলী আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, জেলা প্রশাসক কার্যালয় বরগুনা সরকারি কলেজ এলাকায় বেলা দুইটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির প্রথম আলোকে বলেন, শহীদ শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে চার দিন আগেই তাঁরা দোয়া অনুষ্ঠানের তারিখ ঘোষণা করেন। ছাত্রলীগের আয়োজনকে বানচাল করার জন্যই মূলত একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছে।
এদিকে জেলা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির সহসভাপতি সবুজ মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা এক সপ্তাহ আগে এখানে দোয়া অনুষ্ঠান করার জন্য সরকারি কলেজে অধ্যক্ষকে বলে রেখেছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আট বছর পর গত ১৭ জুলাই বরগুনা শহরের সিরাজ উদ্দীন টাউন হল মিলনায়তনে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২৪ জুলাই রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির অনুমোদন দেয়। সদ্যঘোষিত ৩৩ সদস্যের কমিটি প্রত্যাখ্যান করে বরগুনা শহরে পদবঞ্চিত প্রার্থীরা বিক্ষোভ করে আসছেন।