দক্ষিণের পথে পদ্মা সেতু এলাকায় গাড়ির চাপ, তবে ভোগান্তি নেই
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশদ্বার পদ্মা সেতু এলাকায় ঈদে ঘরমুখী মানুষ ও যানবাহনের চাপ দুই দিন ধরে অব্যাহত আছে।
আজ শনিবার সকাল থেকে এক্সপ্রেসওয়ে ও সেতু এলাকায় যানবাহনের চাপ ছিল। তবে কোনো রকম ভোগান্তি ছাড়াই স্বস্তিতে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে যেতে পারছেন এ পথের যাত্রীরা।
চালক ও যাত্রীরা বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগে ঈদে বাড়ি ফেরার জন্য রীতিমতো যুদ্ধ করতে হতো তাঁদের। পদ্মা পাড়ি দেওয়ার জন্য শিমুলিয়া ফেরিঘাটে এসে একসময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা, এমনকি এক দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো তাঁদের। সেতু উদ্বোধনের পর থেকে সে ভোগান্তি কমেছে। তবে সেতু চালু হওয়ার পর বিগত কয়েকটা ঈদে সেতুর টোল প্লাজা এলাকায় জটলা বাঁধার কারণে তাঁদের কিছু সময় অপেক্ষা করতে হয়েছিল। এবার ঈদের ছুটিতে শুক্রবার সকালে কিছুটা ভোগান্তি হলেও এর পর থেকে আজ শনিবার পর্যন্ত স্বস্তির সঙ্গে গন্তব্যে যেতে পারছেন যাত্রী ও চালকেরা।
পদ্মা সেতুর সাইড অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সকাল থেকে ঈদে ঘরমুখী মানুষের যানবাহনের জটলা ছিল। সে হিসেবে আজ সকাল থেকে গাড়ি একবারের জন্য জটলা বাঁধেনি। তবে সকাল থেকে গাড়ির চাপ আছে। ঈদের আগে এমন চাপ একেবারেই স্বাভাবিক। ভোর থেকে সব ধরনের যানবাহন পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় এসে মুহূর্তের মধ্যে টোল পরিশোধ করে তাদের গন্তব্যে চলে যেতে পারছে।
আবু সাঈদ বলেন, যদি পোশাকশ্রমিকেরা ইতিমধ্যে বাড়ি গিয়ে থাকেন, তাহলে এ পথে আর তেমন চাপ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে এখনো যদি পোশাককর্মীরা তাঁদের চাকরি এলাকায় অবস্থান করেন এবং আজ-কালকের মধ্যে বাড়ি ফিরতে চান, সে ক্ষেত্রে আরেকবার এ পথে চাপ পড়তে পারে। তবে সব ধরনের চাপ মোকাবিলার করে যাত্রী ও চালকদের স্বস্তিতে বাড়ি যেতে সব ধরনের প্রস্তুতি আছে সেতু বিভাগের।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট কামরুজ্জামান বলেন, এক্সপ্রেসওয়ে ও পদ্মা সেতু এলাকার কোথাও গাড়ির কোনো জটলা নেই। সড়ক ফাঁকা থাকায় গাড়িগুলো কোনোরকম ভোগান্তির ছাড়াই সেতুর টোল প্লাজায় যেতে পারছে। তারা টোল পরিশোধ করে গন্তব্যের দিকে ছুটে যাচ্ছে।