নোয়াখালীতে ফটকের তালা ভেঙে ঘরে ডাকাতি
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় বাড়ির প্রধান ফটকের তালা ভেঙে একটি ঘরে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় নগদ তিন লাখ টাকা, প্রায় চার ভরি সোনার গয়না, চারটি মুঠোফোনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করার অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার ভোর পাঁচটার দিকে উপজেলার ডমুরুয়া ইউনিয়নের কইয়াজলা গ্রামের ছিদ্দিক আহমেদ কোম্পানির বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
গৃহকর্তার শ্যালক মহিন উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে ১২-১৩ জনের একদল সশস্ত্র ডাকাত তাঁর ভগ্নিপতির বাড়িতে হানা দেন। ডাকাতেরা বাড়ির সীমানার প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। এরপর কৌশলে দ্বিতল পাকা ভবনের নিচতলায় ঢুকে পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এবং বেঁধে রেখে লুটপাট চালান। তাঁরা ঘরের সাতটি কক্ষের প্রতিটিতে তল্লাশি করে, আলমারি ভেঙে মালামাল তছনছ করেন। এ সময় নগদ তিন লাখ টাকা, প্রায় চার ভরি সোনার গয়না, চারটি মুঠোফোন এবং অন্যান্য মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতদল।
মহিন উদ্দিন বলেন, ডাকাতদের মধ্যে দুজনের মুখ খোলা ছিল। আর বাকিরা ছিলেন মুখোশ পরা। যাঁদের মুখ খোলা ছিল, তাঁদের চেনা যায়নি। তবে পাশের একটি সড়ক দিয়ে ডাকাতেরা হেঁটে আসার একটি ভিডিও চিত্র সড়কের পাশের বাড়ির সিসিটিভির ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। সেটি এরই মধ্যে পুলিশ সংগ্রহ করেছে। সকালে সেনবাগ থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ডাকাতির বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হবে বলে জানান মহিন উদ্দিন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী সেনবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হযরত আলী প্রথম আলোকে বলেন, কইয়াজলা গ্রামের ওই বাড়ির মূল গৃহকর্তা বাড়িতে থাকেন না। তিনি চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী। বাড়িতে থাকেন তাঁর শ্যালিকাসহ পরিবারের সদস্যরা। আজ শনিবার ভোর পাঁচটার দিকে ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একদল লোক বাড়িতে ঢুকে নগদ তিন লাখ টাকা, প্রায় চার ভরি সোনার গয়নাসহ মূল্যবান মালামাল লুট করেছে বলে পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন। বাড়িটি পার্শ্ববর্তী ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার সীমান্তবর্তী। বিষয়টি তাঁরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছেন।
পরিদর্শক হযরত আলী আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগের আলোকে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি এরই মধ্যে বিষয়টি জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের অবহিত করেছেন।