পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে যানবাহনের দীর্ঘ সারি
ঈদ সামনে রেখে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। এতে আজ শুক্রবার সকাল থেকে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে মোটরসাইকেল ও যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন যানবাহন চালক ও যাত্রীরা।
পবিত্র রমজান মাস শেষ হওয়ার পথে। ঈদ উদ্যাপন করতে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা শুরু হয়ে গেছে। পদ্মা সেতু হয়ে বাড়িতে যান দক্ষিণাঞ্চলের হাজারো মানুষ। এতে প্রতিবছরই ঈদের দুই–এক দিন আগে সেতু এলাকায় যানবাহনের জটলা তৈরি হয়। কয়েক দিন ধরেই সেতুর মাওয়া প্রান্তে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেলেও কোনো জটলা বাঁধেনি। আজ সাহ্রির পর থেকে যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। একটি গাড়ি টোল পরিশোধ করতে করতে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আরও ১০ থেকে ১৫টি গাড়ি চলে আসছে। এভাবে ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত শত শত গাড়ি টোল পরিশোধের অপেক্ষায় রয়েছে। এর মধ্যে মোটরসাইকেলের সংখ্যাই বেশি।
পদ্মা সেতুর সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে পদ্মা সেতু পাড়ি দেওয়া যানবাহনের সংখ্যা বাড়তে থাকে। তবে যানবাহনের কোনো জটলা বাঁধেনি। আজ ভোর চারটা পর্যন্ত টোল প্লাজায় কোনো যানবাহন অপেক্ষমাণ ছিল না। সকাল ছয়টার পর থেকে যানবাহনের চাপ হঠাৎ বৃদ্ধি পায়। এর মধ্যে মোটরসাইকেলের সংখ্যাই বেশি। সকাল পৌনে ৯টার দিকে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা থেকে উত্তর থানা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় যানবাহন অপেক্ষমাণ ছিল।
আবু সাঈদ বলেন, মোটরসাইকেলের চাপ কমাতে আরও একটি বুথ বাড়িয়ে টোল আদায় করা হচ্ছে। আগামী এক ঘণ্টার মধ্যেই যানবাহনের অপেক্ষমাণ সারি শেষ হয়ে যাবে।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) এসএম জিয়াউল হায়দার প্রথম আলোকে বলেন, পৌনে এক কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত যানবাহনের সারি। তবে যানবাহন ধীরে ধীরে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে গন্তব্যের দিকে ছুটে যাচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাপ কমে যাবে।
২৪ ঘণ্টায় টোল আদায় ৩ কোটি টাকা
এদিকে গত বুধবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে গতকাল রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্ত দিয়ে ২৭ হাজার ৬৮৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ১৭ হাজার ৩৩৫টি এবং জাজিরা প্রান্ত দিয়ে ১০ হাজার ৩৪৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। দুই প্রান্ত থেকে ৩ কোটি ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫০ টাকার টোল আদায় করা হয়েছে।