জামালপুরে পাঠক ও লেখকের ভিড়ে মুখর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ বইমেলা

শিশু, নারী ও শিক্ষার্থীদের পদাচারণে জমে উঠেছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ বইমেলা। আজ শুক্রবারছবি: প্রথম আলো

জামালপুরে পাঠক, লেখক, শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের পদচারণে জমে উঠেছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পাঁচ দিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ বইমেলা। গতকাল বৃহস্পতিবার শহরের বকুলতলা এলাকায় পাবলিক লাইব্রেরি চত্বরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের উদ্যোগে শুরু হয়েছে এই মেলা। আজ শুক্রবার সকাল থেকেই শিশু, নারী ও শিক্ষার্থীদের পদাচারণে জমে উঠেছে।

আয়োজক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে আসা বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের একটি গাড়ি থেকে অনেকগুলো র‍্যাক নামিয়ে একটি স্টলে রাখা হয়েছে। মেলা শেষে র‍্যাকগুলো আবার ওই গাড়িতে তুলে আরেক জায়গায় মেলার জন্য নেওয়া হবে।

আজ সকালে গিয়ে দেখা যায়, মেলায় শিক্ষার্থী, শিশু ও নানা বয়সী মানুষের ভিড়। তাঁদের মধ্যে শিক্ষার্থীরাই বেশি বই কিনছেন। অন্যদিকে মা-বাবার সঙ্গে মেলায় ঘুরতে আসা শিশু-কিশোরেরা প্রিয় লেখকদের বই কিনছে, কেউ কেউ বিভিন্ন লেখকের বই খুলে দেখছে। এখানে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের নিজস্ব বই ছাড়াও অন্যান্য প্রকাশনারও বই রয়েছে। এসব বই ২০–৪০ শতাংশ ছাড়ে বিক্রি করা হচ্ছে।

সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের স্নাতকের (সম্মান) শিক্ষার্থী চৌধুরী সামিতা তাবাসসুম বলেন, ‘এক বান্ধবীর মাধ্যমে জানতে পারি, ভ্রাম্যমাণ বইমেলা হচ্ছে। তাই চলে এলাম। সুন্দর খোলামেলা পরিবেশে বইমেলায় এসে অনেক ভালো লাগছে। তাকে তাকে সাজানো বই। ঘুরে ঘুরে তাকের বই দেখছি। এই বইমেলা শিক্ষার্থীদের বইপ্রেমী করে তুলতে সহযোগিতা করবে।’

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আলিফ আহাম্মেদ বাবার সঙ্গে মেলায় এসেছে। সে বলে, ‘বাবাকে জোর করে মেলায় এনেছি। মেলা ছোট হলেও অনেক সুন্দর। বাবা আর আমি ঘুরে ঘুরে দেখছি। বই পছন্দ হলেই কিনব।’

গতকাল বৃহস্পতিবার শহরের বকুলতলা এলাকায় পাবলিক লাইব্রেরি চত্বরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের উদ্যোগে শুরু হয়েছে এই মেলা
ছবি: প্রথম আলো

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বিক্রয় কর্মকর্তা আবুল কাশেম বলেন, মেলায় বেচাবিক্রি বেশ ভালো। গতকাল ২০ হাজার টাকার বই বিক্রি হয়েছে। মেলায় বাচ্চাদের বইয়ের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। সবচেয়ে বেশি বই কিনছেন শিশুশিক্ষার্থীরা। আবার অনেকে বইয়ের দাম দেখে চলেও যাচ্ছেন। ছোট পরিসরে হলেও এই বইমেলা অনেক গুরুত্ব বহন করে। ভ্রাম্যমাণ এই বইমেলার আজ দ্বিতীয় দিন। শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি–পেশার বইপ্রেমী আসবেন বলে আশা করছি। ১০ মার্চ বিকেল পর্যন্ত মেলা চলবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।