পঞ্চাশোর্ধ নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা, পিটুনি দিয়ে তরুণকে পুলিশে দিল জনতা

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

চুয়াডাঙ্গায় পঞ্চাশোর্ধ এক নারীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক তরুণকে পিটুনি নিয়ে পুলিশে দিয়েছে জনতা। পরে ভুক্তভোগী নারীর দায়ের করা মামলায় সদর থানা পুলিশ ওই তরুণকে আজ সোমবার দুপুরে গ্রেপ্তার করে বিকেলে আদালতে সোপর্দ করেছে। গ্রেপ্তার তরুণের মো. স্বাধীন (৩০)।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, স্বাধীন ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার বাসিন্দা। আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরের মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে ওই নারীকে ধর্ষণচেষ্টা চালানো হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে দুপুরে সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

থানায় দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, ওই নারী দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ সুপারের কার্যালয় এলাকায় একটি বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করেন। আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে তিনি বাড়ি থেকে মাথাভাঙ্গা নদীর ধার দিয়ে হেঁটে কাজের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশ পার্কের কাছে স্বাধীন অতর্কিতভাবে ওই নারীকে জাপটে ধরেন এবং কাপড়চোপড় টেনেহিঁচড়ে ছিঁড়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তখন ওই নারীর চিৎকারে দৌলাতদিয়াড় দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা দুজন নারী ছুটে এসে তাঁকে রক্ষা করেন।

এর পর উত্তেজিত জনতা স্বাধীনকে ধরে পিটুনি দেওয়ার পর সদর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। অভিযুক্ত স্বাধীন কী কারণে ফরিদপুর থেকে চুয়াডাঙ্গায় এসেছিলেন বা চুয়াডাঙ্গাতে কী করেন তা জানা যায়নি। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খালেদুর রহমান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্ত স্বাধীনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।