জামালপুরে তারেক রহমানের ভার্চ্যুয়াল সভায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত অন্তত ২০
জামালপুরে জেলা বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল সোয়া চারটা থেকে ছয়টা পর্যন্ত জামালপুর শহরের দেওয়ানপাড়া ও ফৌজদারি মোড় এলাকায় দফায় দফায় এ সংঘর্ষ চলে। এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের মাইক্রোবাস ভাঙচুর এবং পাঁচটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসব ঘটনায় অন্তত ২০ আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জামালপুর শহরের দেওয়ানপাড়া এলাকার স্টার কমিউনিটি সেন্টারে জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তারেক রহমানের ভার্চ্যুয়াল মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার। সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ওয়ারেছ আলী। বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের দুই থেকে তিনজন করে প্রতিনিধি ওই সভায় থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
বিকেল সোয়া চারটার দিকে জেলা বিএনপির সদস্য শামীম আহাম্মেদ ও তাঁর নেতা-কর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে সভাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় সভাস্থলে ঢোকা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ওয়ারেছ আলীর সমর্থকদের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এরপর দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় শাহ মো. ওয়ারেছ আলীর একটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করা হয়। পরে উভয় পক্ষ কমিউনিটি সেন্টারের সামনের সড়কে দফায় দফায় সংঘর্ষ জড়ায়। উভয় পক্ষের সমর্থকদের হাতে দেশি অস্ত্র দেখা যায়। ফৌজদারি মোড়ে পাঁচটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষে প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় দেওয়ানপাড়া এলাকায় শহরের প্রধান সড়কে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আশপাশের সব দোকানপাটের ঝাঁপ ফেলে নিরাপদ স্থানে সরে যান দোকানিরা।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিএনপির একটি মতবিনিময় সভাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পেয়ে আমরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’