শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের দায়ে বহিষ্কৃত ১৬ শিক্ষার্থীর শাস্তি প্রত্যাহার করল কর্তৃপক্ষ
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের দায়ে হল থেকে আজীবন বহিষ্কৃত ১৬ শিক্ষার্থীর শাস্তি প্রত্যাহার করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আবদুল কাদির স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা গেছে।
অফিস আদেশে বলা হয়, ‘শাবিপ্রবির শৃঙ্খলা বোর্ডের সুপারিশ এবং ২৩৪তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ১৬ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল থেকে আজীবন বহিষ্কার ও নিষিদ্ধের শাস্তি প্রত্যাহার করা হয়েছে।’
শিক্ষার্থীরা হলেন মো. পাবন মিয়া, মো. রিয়াজ হোসেন, পায়েল আহমেদ, মো. খালেদ সাইফুল্লাহ, রামিম আহমদ, মো. রাকিব হোসেন, অশেষ চাকমা, সৌরভ নাথ, শরিফুল ইসলাম, অনিক দাস, মো. ফাহিম মিয়া, নয়ন চন্দ্র দে, মো. তোহা মিয়া, মো. আশিক হোসেন, মো. আল আমিন ও মো. আপন মিয়া। তাঁরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ মুজতবা আলী হলের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ওই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে একই বিভাগের এক জুনিয়র শিক্ষার্থীকে র্যাগ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ওই সময়ে প্রাথমিকভাবে তাদের সাময়িক বহিষ্কার করেছিল তৎকালীন কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এর এক মাস পর ২২৭ তম সিন্ডিকেট সভায় ১৬ শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে সব আবাসিক হল থেকে বহিষ্কার ও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
তবে গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কর্তৃপক্ষের কাছে ওই ঘটনার পুনঃতদন্তের আবেদন করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ও নির্দেশনা পরিচালককে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যবিশিষ্ট রিভিউ কমিটি গঠন করেন কর্তৃপক্ষ।
রিভিউ কমিটির সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. মোখলেসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষার্থীদের আবেদনের ভিত্তিতেই এ রিভিউ কমিটি গঠন করা হয়। রিভিউ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সিন্ডিকেট শিক্ষার্থীদের শাস্তি প্রত্যাহার করে।
মোখলেসুর রহমান বলেন, পূর্বের যে তদন্ত প্রতিবেদন তা অসংগতিপূর্ণ। সে কারণে এটি সঠিক মনে হয়নি। পূর্বের শাস্তি পক্ষপাতমূলক ছিল। তাই রিভিউ কমিটি পুনরায় তদন্ত করে সুপারিশ করেছে।