নবাবগঞ্জে অপহরণের ৩ ঘণ্টা পর স্কুলছাত্রকে দোহার থেকে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৫
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় অপহরণের প্রায় তিন ঘণ্টা পর এক স্কুলছাত্রকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে দোহার থানার সীমান্তবর্তী সাইনপুকুর তদন্তকেন্দ্র–সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। ওই ছাত্রকে অপহরণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ওই ছাত্রের নাম প্রতীক সরকার (১৩)। সে স্থানীয় হলিক্রস উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ও উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের ঘোষপাল এলাকার বাসিন্দা। তাকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার পারভেজ আহমেদ (৪০), রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার মোক্তার হোসেন আকাশ (৩৯) ও জুরাইন পশ্চিম ধোলাইপাড়ের জুম্মন খান (৪১), মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার আতিক হালদার (৪৪) ও চাঁদপুরের মো. মিজান (৫৩)।
পুলিশ জানায়, আজ সকাল ৯টার দিকে প্রতীক বাসা থেকে বিদ্যালয়ের উদ্দেশে রওনা হয়। কিছু দূর যাওয়ার পর রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি প্রাইভেট কার থেকে তাকে ডাক দেন কয়েকজন। এতে সাড়া দিয়ে এগিয়ে গেলে অপহরণকারী চক্রের এক সদস্য প্রতীকের বাবা কোথায় জানতে চান। বাড়ি দেখিয়ে দেওয়ার কথা বলে শিশুটিকে তাঁরা গাড়িতে তুলে নেন। গাড়িটি নবাবগঞ্জ থেকে দোহার হয়ে শ্রীনগর মহাসড়কের দিকে যায়। অন্যদিকে সকাল ১০টার পর বিদ্যালয় থেকে প্রতীকের অনুপস্থিতির বিষয়টি তার পরিবারের কাছে জানানো হয়। তখন প্রতীকের বাবা ও স্বজনেরা দ্রুত বিষয়টি নবাবগঞ্জ থানা-পুলিশকে জানান। পরে দোহার ও নবাবগঞ্জের প্রতিটি রাস্তায় চেকপোস্ট বসিয়ে গাড়ি তল্লাশি করা হয়।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, দুপুর ১২টার দিকে দোহার থানার সীমান্তবর্তী সাইনপুকুর তদন্তকেন্দ্রের কাছে প্রতীককে বহনকারী গাড়িটি আটকে দেয় পুলিশ। পরে গাড়ির ভেতর থেকে হাত, পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে উদ্ধার হওয়া স্কুলছাত্র প্রতীকসহ গ্রেপ্তার পাঁচজনকে নবাবগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতীকের বাবা সঞ্জয় সরকার মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি থানায় আছি। পরে বিস্তারিত বলব।’
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুমিনুল ইসলাম বলেন, অপহৃত স্কুলছাত্রকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।