খুলনায় দোকান ভাঙচুর–লুটপাট, বিএনপির ৬ নেতা-কর্মীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

লুটপাটের অভিযোগ ওঠায় খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য শাহাদাৎ হোসেনসহ (ডাবলু) ছয়জনকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান ও সদস্যসচিব এস এম মনিরুল হাসান স্বাক্ষরিত ওই নোটিশ দেওয়া হয়। তাঁদের পাঁচ দিনের মধ্যে জেলা বিএনপির দপ্তরে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।

শাহাদাৎ হোসেন পাইকগাছার কপিলমুনি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান। নোটিশ পাওয়া অন্য নেতারা হলেন কপিলমুনি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ সরদার, হরিঢালী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরদার তোফাজ্জেল, যুগ্ম সম্পাদক মাসুম হাজরা, বিএনপি কর্মী মিঠু গাজী এবং যুবদল কর্মী রায়হান সরদার।

দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর কপিলমুনি বাজারে শাহাদাৎ হোসেনের নির্দেশে শতাধিক দোকানপাটে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এরপর সিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট করার জন্য হার্ডডিস্ক এবং অসংখ্য মানুষের মুঠোফোন ভেঙে ফেলা হয়। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির নেতাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন কপিলমুনি এলাকার মানুষ। ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ১০ আগস্ট খুলনায় হিন্দু ব্যবসায়ীর বাড়িতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম এনামুল হক ও সদস্য কিশোর মণ্ডলকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলীয় পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। জেলা বিএনপি থেকে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ওই দিন রূপসা উপজেলার শ্রীফলতলা ইউনিয়নের পাঁচ নেতা-কর্মীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। ১৪ আগস্ট খুলনার পাইকগাছা উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মশিয়ার রহমানকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দলীয় পদসহ বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

আরও পড়ুন

এ ছাড়া ১৪ আগস্ট দলীয় শৃঙ্খলাপরিপন্থী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে খুলনা নগর বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের চার নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। ১১ আগস্ট নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়ায় খুলনা মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ১৪ নেতাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয় নগর বিএনপি।

আরও পড়ুন