শ্রীপুরে জমজমাট চৈতালি মেলায় বৈশাখীর হাতছানি

গাজীপুরের শ্রীপুরে সাতআনী বাজারে চৈতালি মেলায় ক্রেতাদের ভিড়। শনিবার বিকেলেছবি: প্রথম আলো

ছোট ছোট শিশুদের হাতে রঙিন বেলুন, বাঁশি আর রকমারি খাবার। দুলছে নাগরদোলা। সেখানে রঙিন পোশাকে শিশু ও কিশোর-কিশোরীর ভিড়। তৈরি হচ্ছে জিলাপি, সন্দেশ ও নানা পিঠাপুলি। জমজমাট এই দৃশ্য শতবর্ষী একটি চৈতালি মেলার। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ধনুয়া গ্রামের সাতআনী বাজারে শনিবার দিনভর এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার বিকেলে মেলায় গিয়ে দেখা যায়, বাজারের ভেতরে খোলা জায়গায় বসেছে চৈতালি মেলা। কী নেই সেখানে! মুড়িমুড়কির দোকান থেকে শুরু করে শরবত, পেঁয়াজু, বাদাম, জিলাপি, পিঠাপুলি, হালিম, চটপটি ও চানাচুর ভাজার পসরা সাজানো। বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে মাটির তৈজসপত্র, প্লাস্টিকের খেলনাসহ নানা পণ্য। বড় নৌকার আদলে বানানো নাগরদোলা চালানো হচ্ছে ডিজেল ইঞ্জিনে। সেটিতে চড়তে ভিড় জমিয়েছেন বিভিন্ন বয়সী লোকজন। পাশেই বিশাল আকারের উঁচু স্লিপার। সেখানে উৎফুল্ল শিশুরা যে যার মতো পিছলে নিচে নামছে। পুরো মেলাপ্রাঙ্গণ শিশুদের কলকাকলিতে মুখর।

মেলায় স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে এসেছেন মো. লিমন। তাঁরা বেশ খুশি। হাত ধরে নাতিকে নিয়ে মেলায় এসেছেন মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, তাঁর দাদা–বাবা এই মেলার গল্প বলতেন। তিনি নিজে এই মেলায় আনন্দ করেছেন। এখন নতুন প্রজন্ম এই মেলায় আসছে, আনন্দ করছে। শত বছরের বেশি সময়ের পুরোনো এই মেলার জন্য তাঁরা অপেক্ষায় থাকতেন।

চৈতালি মেলায় তৈরি হচ্ছে জিলাপি, সন্দেশ ও নানা পিঠাপুলি
ছবি: প্রথম আলো

সাতআনী বাজারে অনুষ্ঠিত মেলার আয়োজক মো. ফাইজ উদ্দিন বলেন, প্রতিবছর চৈত্র মাসের শেষ শনিবার চৈতালি মেলা হয়। এই রেওয়াজ শত বছরের বেশি পুরোনো। এখনো সেই রেওয়াজ চলছে। দেশ যত আধুনিকই হোক; মাটির সঙ্গে, মানুষের সঙ্গে মানুষের বন্ধন টিকে থাকবে সব সময়।