ওবায়দুল কাদেরের ভগ্নিপতিকে কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা

মনিরুজ্জামান মনির নোয়াখালী জেলা পরিষদ ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য। অটোরিকশা আটকে তাঁকে কুপিয়ে আহত করেছে হামলাকারীরাছবি: প্রথম আলো

নোয়াখালী জেলা পরিষদ ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য মনিরুজ্জামান মনিরকে (৫৬) কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভগ্নিপতি। আজ শুক্রবার বিকেলে উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের চরহাজারী চৌরাস্তা এলাকায় চলন্ত একটি অটোরিকশার গতি রোধ করে তাঁকে কুপিয়ে আহত করা হয়।

হামলার পর আহত মনিরুজ্জামানকে সড়কের পাশে ফেলে রেখে চলে যায় হামলাকারী ব্যক্তিরা। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মনিরুজ্জামান পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাস করেন। দুপুরে তিনি উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের কদমতলা বাজার এলাকায় নিজের গ্রামের বাড়িতে জুমার নামাজ পড়তে যান। নামাজ শেষে তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ফিরছিলেন। অটোরিকশাটি উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের চৌরাস্তা এলাকায় পৌঁছালে একদল দুর্বৃত্ত অটোরিকশার গতি রোধ করে। এরপর মনিরুজ্জামানকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে এবং লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রৌশন জাহান প্রথম আলোকে বলেন, মনিরুজ্জামান নামের ওই রোগীর মাথায় ও পিঠে ধারালো অস্ত্রের জখম রয়েছে। এ ছাড়া হাঁটুতেও গুরুতর জখম দেখা গেছে। তাঁকে প্রাথমিক কিছু চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

আহত মনিরুজ্জামানের এক আত্মীয় নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন মনিরুজ্জামানের ওপর হামলাকারী ব্যক্তিরা স্থানীয়ভাবে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এ ঘটনায় তাঁরা হামলাকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।

হামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বসুরহাট পৌর জামায়াতের আমির মোশারফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না, জেনে পরে জানাবেন।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাটি শোনার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ থানায় অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।