আড্ডা–গল্পে জমে ওঠে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের শোভাযাত্রা। আজ শনিবার হবিগঞ্জ শহরেছবি: প্রথম আলো

‘শাটল ট্রেন আর জারুলতলার দিনগুলি’, ‘বন্ধুরা এসো স্মৃতির পাতায় ঝাঁপি খুলি’ স্লোগান নিয়ে আজ শনিবার হবিগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৫।

হবিগঞ্জের সন্তান, যাঁরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা করেছেন, সেই প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজন করা হয় এ অনুষ্ঠানের। এতে অংশ নেন কয়েক শ শিক্ষার্থী। তাঁদের গল্প-আড্ডায় জমে ওঠে ওই পুনর্মিলনী।

হবিগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বেলা ১১টায় আকাশে একঝাঁক বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন চৌধুরী ইকবাল।

উদ্বোধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা একটি শোভাযাত্রা নিয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। পরে বেলুন ও পায়রা উড়ানো, স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন, স্মৃতিচারণা, খেলাধুলা, পিঠা উৎসব, র‌্যাফল ড্র, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা অনুষ্ঠানে সাজানো হয় পুরো অনুষ্ঠান। স্মৃতিচারণা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘কর্মময় জীবনের সব স্মৃতি ভুলে গেলেও ছাত্রজীবনের সহপাঠীদের ভোলা যায় না। বন্ধুত্বের এ ভালোবাসা প্রাণের এক শক্তি। প্রত্যেকটি মানুষ তার শৈশবকে ফিরে পেতে ভালোবাসে। তাই সেই সোনালি দিনগুলো স্মরণ করতে আমাদের এ পুনর্মিলন। আমরা সেই “শাটল ট্রেন আর জারুলতলার দিনগুলি” নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই।’

প্রধান অতিথি ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার ও হবিগঞ্জের কৃতী সন্তান শরফ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে মিলনের আনন্দ অন্য রকম। তাই যত ব্যস্ত থাকি না কেন, ঢাকা থেকে ছুটে এসেছি এ আনন্দে শরিক হতে।’ পু

নর্মিলনীতে আসা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দেওয়ান জালাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘সহপাঠী ও একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া বড় ভাইদের পেয়ে অন্য রকম একটা দিন কাটল আজ। মনে হয়েছে, ছাত্রজীবনে আবারও ফিরে গেছি।’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ সায়েম উদ্দিন ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক সফিউল বারী প্রমুখ।