মাদারীপুরে শাজাহান খান ও বাহাউদ্দিন নাছিমের বাসভবনে হামলা–লুটপাট

মাদারীপুরে সংসদ সদস্য শাজাহান খানের বাসায় ভাঙচুর করে আসবাব সড়কে এনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সোমবার বিকেলে শহরের মাদারীপুর সরকারি কলেজের সামনেছবি: প্রথম আলো

মাদারীপুরে সংসদ সদস্য শাজাহান খান ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের বাসভবনে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া শাজাহান খানের ভাই হাফিজুর রহমানের বাসভবন, হোটেল ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেও হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

আজ সোমবার বিকেলে শহরের কলেজগেট ও ইপেরপুল এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও উৎসুক জনতা এ হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে।

হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ চালিয়ে বিজয় মিছিল বের করেন আন্দোলনকারী বিভিন্ন স্কুল–কলেজের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। এ সময় বিএনপি ও জামায়াতের নেতা–কর্মীদেরও দেখা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজন জানান, শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়লে মাদারীপুর শহরের প্রধান সড়ক শেখ হাসিনা মহাসড়কে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে প্রথমে বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা বিজয় মিছিল নিয়ে মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খানের ১০ তলা বাসভবনে ভাঙচুর ও লুটপাট চালান। পরে তাঁরা এই ভবনে আগুন ধরিয়ে দেন।

এরপর বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা শাজাহান খানের ভাই হাফিজুর রহমান খানের মালিকানাধীন দুটি বহুতল ভবন, একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও হোটেলে ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করেন। এ সময় কয়েকটি মোটরসাইকেলেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

মাদারীপুরের প্রভাবশালী আরেক নেতা ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের বাসভবনেও ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ছাড়াও মহিলা লীগের নেতা ফারজানা নাজরিনের একটি ডুপ্লেক্স ভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, শাজাহান খানের বাহিনীর কাছে মাদারীপুরের মানুষ এত দিন জিম্মি ছিল। তাঁর প্রভাবে সাধারণ মানুষ কেউ মুখ খুলে কিছু বলার সাহস পাননি।

এ সম্পর্কে জানতে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. শফিউর রহমানসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল কয়েকজনকে কল দিয়ে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।