হাইমচরে নিহত আওয়ামী লীগ নেতার লাশ দুই মাস পর কবর থেকে উত্তোলন
চাঁদপুরের হাইমচরে গত ৫ আগস্ট হামলায় নিহত আওয়ামী লীগ নেতা বাচ্চু মিয়া খানের লাশ দুই মাস পর ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। বাচ্চু মিয়া উত্তর আলগী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেনের উপস্থিতিতে উত্তর আলগী ইউনিয়নের নয়ানী লক্ষ্মীপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে লাশটি তোলা হয়। বাচ্চু মিয়া খান ওই গ্রামের আবদুল মতিন খানের বড় ছেলে।
পরিবারের লোকজন বলেন, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারীর বাড়িতে উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে হামলা চালান ও ভাঙচুর-লুটপাট করেন। এরপর তাঁরা ওই বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বাচ্চু মিয়া খান, আওয়ামী লীগের কর্মী মনা শিকদার, শাহজাহান ভূঁইয়া, আজিজ পাটওয়ারী, জাহাঙ্গীর গাজীসহ সাত থেকে আটজনকে কুপিয়ে জখম করে ফেলে চলে যান হামলাকারী ব্যক্তিরা। স্থানীয় লোকজন তাঁদের হাইমচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বাচ্চু খানকে ঢাকায় পাঠান। পরে বাচ্চু খান ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ আগস্ট মারা যান।
এ ঘটনায় গত ২২ সেপ্টেম্বর নিহত বাচ্চু খানের মা ফাতেমা বেগম ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে হাইমচর থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। হত্যাকাণ্ডের প্রায় দুই মাস পর ময়নাতদন্তের জন্য নিহত ব্যক্তির লাশ উত্তোলন করা হয়।
হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়াসিন জানান, হাইমচর থানায় করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বাচ্চু খানের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।