যাত্রীবাহী বাসে খাঁচায় আনা হচ্ছিল ১৬টি টিয়া, পরে অবমুক্ত
দেশ ট্রাভেলসের একটি বাস চট্টগ্রাম থেকে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজশাহীতে আসে। বাসটির চালকের পেছনের ফাঁকা জায়গায় একটি খাঁচায় ১৬টি টিয়া ছিল। এই বাসে বন বিভাগের দুজন প্রশিক্ষণার্থী ছিলেন। তাঁরা মালিকবিহীন টিয়ার খাঁচাটি পেয়ে বন বিভাগে খবর দেন। বন বিভাগের কর্মকর্তারা এসে দুপুরে রাজশাহী প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে টিয়াগুলো অবমুক্ত করেন।
রাজশাহী বন বিভাগের বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্য প্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির জানান, রাজশাহীতে ফরেস্ট্রি সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে বনিয়াদি প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য চট্টগ্রাম থেকে দুজন প্রশিক্ষণার্থী দেশ ট্রাভেলসের বাসে করে রাজশাহীতে আসছিলেন। তাঁরা গাড়িতে উঠেই খাঁচাটি দেখতে পান। কিন্তু খোঁজ করেও এর কোনো মালিক পাননি। খাঁচাটি গাড়ির চালকের পেছনের ফাঁকা জায়গায় রাখা ছিল।
এই দুই প্রশিক্ষণার্থী রাজশাহীতে নামার সময় মালিক না পেয়ে খাঁচাটি নিয়েই নামেন। এর পরপরই বাসটি ছেড়ে চলে যায়। জাহাঙ্গীর কবির জানান, তাঁরা ধারণা করছেন, গাড়ির সুপারভাইজারের মাধ্যমে টিয়াগুলো রাজশাহীতে পাঠানো হচ্ছিল। প্রশিক্ষণার্থীরা খাঁচাটি নিয়ে নামার পর সুপারভাইজার বিপদ আঁচ করে যাত্রী নামিয়ে দিয়েই গাড়ি নিয়ে সটকে পড়েন।
পরে দুপুরে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে জেলা প্রশাসক আফিয়া আক্তার এবং রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ) রফিকুজ্জামান শাহ পাখিগুলো অবমুক্ত করেন।
বন্য প্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, তাঁরা এ বিষয়ে দেশ ট্রাভেলস কর্তৃপক্ষকে একটি নোটিশ দেবেন, যাতে তাঁরা তাঁদের কর্মচারীদের এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করতে পারেন। এ ধরনের কাজ দণ্ডনীয় অপরাধ।