পাবনায় জিন-ভূতের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া কথিত কবিরাজের কারাদণ্ড
তিনি জিন-ভূতের মাধ্যমে চিকিৎসা দিতেন। ভাঙা প্রেম, ভাঙা সংসার জোড়া লাগাতেন। মনের মানুষ খুঁজে দিতেন। করতেন সর্বরোগের চিকিৎসা। বিনিময়ে নিতেন নগদ টাকা, মুরগি ও ছাগল।
আজ সোমবার সকালে পাবনার আটঘরিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে রেজাউল করিম (৫০) নামের এমনই এক ভুয়া কবিরাজকে এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। তাঁর বাড়ি উপজেলা সদরের ধলেশ্বর গ্রামে। অভিযানে এই কবিরাজের বাড়ি থেকে পাঁচটি মানুষের মাথার খুলি, ত্রিশূল, সিঁদুরসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম পাওয়া গেছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাহারুল ইসলাম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান।
অভিযানকারী দলের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রেজাউল করিম জিন–ভূতের মাধ্যমে চিকিৎসার নামে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছিলেন। জিনের মাধ্যমে ভাঙা প্রেম, ভাঙা সংসার জোড়া লাগানো, মনের মানুষ খুঁজে দেওয়া, নিঃসন্তান নারীদের সন্তান দেওয়াসহ সর্বরোগের ওষুধ দিতেন। বিনিময়ে টাকাপয়সা, গরু, ছাগল নিতেন। গ্রামের সহজ–সরল মানুষ তাঁর কথায় বিশ্বাস করে প্রতারিত হচ্ছিলেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সকালে তাঁর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বাড়িটি থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহার করা মানুষের মাথার খুলিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম পাওয়া যায়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ সালের ৪১ ধারায় তাঁকে এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়।
ইউএনও মো. নাহারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রামের সাধারণ মানুষেরা অল্পতেই মানুষকে বিশ্বাস করেন। সেই বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করেই রেজাউল করিম দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছিলেন। তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালতে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন। পরে তাঁকে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়ার পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।