সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ছবি–সংবলিত কাগজ পোড়ালেন শিক্ষার্থীরা, পদত্যাগের দাবিতে তালা
বেঁধে দেওয়া ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ না করায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. জামাল উদ্দিন ভূঞার ছবি–সংবলিত কাগজ পোড়ালেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে তাঁর দ্রুত পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন। আজ সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।
পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেটের সমন্বয়ক গোলাম মুর্তজা ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আজিজুল হক আজাদের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য মো. সিদ্দিকুল ইসলামের কাছে সাত দফা দাবি–সংবলিত স্মারকলিপি দেন।
দাবিগুলোর মধ্যে আছে ক্যাম্পাসে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা, দ্রুত ক্যাম্পাসের সব কার্যক্রম চালু করা, আবাসিক হল খুলে দেওয়া ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, দ্রুত সময়ের মধ্যে ছাত্র সংসদ চালু করা; শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা, বৈধ ছাত্রদের হলে সিটের ব্যবস্থা করা এবং অছাত্রদের দ্রুত নোটিশের মাধ্যমে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া।
এর বাইরে সর্বশেষ দাবি হচ্ছে—ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের যাঁরা হুমকি, হয়রানি ও মারধর করেছেন, তাঁদের পদত্যাগ ও ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা।
৬ আগস্ট উপাচার্য জামাল উদ্দিন ভূঞা ১০ দিনের ছুটি নেন। এরপর ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক সিদ্দিকুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব নেন। ছুটি নেওয়ার পর গত বুধবার মধ্যরাতে উপাচার্য জামাল উদ্দিন ভূঞা জনরোষে পড়ে ‘পালিয়েছেন’ বলেও ক্যাম্পাসে খবর ছড়িয়ে পড়ে। যদিও উপাচার্য তখন পালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেন। পরে গতকাল রোববার দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যানারে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে উপাচার্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে পদত্যাগ করতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটামের বিষয়ে গতকাল উপাচার্য মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা প্রথম আলোকে বলেন, ‘উপাচার্য পদে থাকার আমার কোনো ইচ্ছা নেই। কার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেব, সেটা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে জানার চেষ্টা করছি।’