চট্টগ্রামে নাচ-গানে বসন্তবরণ
বাঙালির জীবনে ঋতুরাজ আসে বর্ণময় সাজে। বাঙালি মানসে বসন্তের প্রভাবও কম নয়। বসন্তের আগমনে প্রকৃতি যেমন সেজেছে, তেমনি বসন্তের রঙে নিজেদের রাঙিয়ে তোলার প্রাণন্ত চেষ্টায় প্রকৃতির সন্তানেরা। ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করতে চট্টগ্রামে এমনই এক আয়োজন চলছে নগরের পাহাড়তলী আমবাগান পার্কে।
আজ শুক্রবার বসন্তের প্রথম দিনে বোধন আবৃত্তি পরিষদ আয়োজন করেছে এই বসন্তবরণ উৎসব। প্রতিবারের মতো এবারও নাচ-গান, আবৃত্তি-কথামালাসহ নানা আয়োজন রয়েছে দিনব্যাপী এই উৎসবে। সকালে ভায়োলিনিস্ট চিটাগংয়ের সম্মিলিত বেহালাবাদনের মধ্য দিয়ে বসন্ত উৎসব শুরু হয়। এরপর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং বোধনের সদস্যরা মঞ্চে বিভিন্ন পরিবেশনায় অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে বসন্তকে স্বাগত জানিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বোধনের সভাপতি সোহেল আনোয়ার, উৎসবের সহযোগী প্রতিষ্ঠান নিপ্পন পেইন্টের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক মানব কুমার সাহা, কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের কর্ণধার বাসুদেব সিনহা। বক্তারা বলেন, সারা বছরের নানান বঞ্চনা, নানান টানাপোড়েনের গ্লানি মুছে যায় এই বসন্তে। এই ফাগুনেই রক্তে রঞ্জিত হয়েছে বাংলার রাজপথ। বুকের রক্তে বাঙালি রক্ষা করেছে মাতৃভাষার মর্যাদা। বসন্ত আমাদের মনে দোলা দিয়ে যায়। আমাদের নতুন করে বাঁচতে শেখায়। আমাদের প্রাণোচ্ছল করে তোলে। একটি মানবিক, অসাম্প্রদায়িক ও শোষণহীন সমাজ গঠনের জন্য বাঙালির এসব উৎসব-পার্বণগুলোর গুরুত্ব অপরিসীম।
উৎসবে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেয় সুরপঞ্চম, ধ্রুপদ সংগীত নিকেতন, আর কে মিউজিক একাডেমি, আন্তর্জাতিক বিশ্বতান, কিল অব ক্ল্যাসিক্যাল অ্যান্ড ফোক ডান্স, ওডিশি অ্যান্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার, মাধুরী ডান্স একাডেমি, নৃত্য নিকেতন, নৃত্যরূপ একাডেমি, সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠ, নৃত্যেশ্বর নৃত্যালয়, বাগেশ্বরী সংগীতালয়সহ বিভিন্ন সংগঠন। উৎসব উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাও বের করা হয়।