৪ লাখ টাকায় সোনার মূর্তি কেনার পর যাচাই করে জানা গেল পুরোটাই নকল
নকল সোনার মূর্তি দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ থেকে এক নারীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বগুড়ার শেরপুর থানা-পুলিশের পৃথক দুটি অভিযানে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শুক্রবার সকালে গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়ার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বোগাপাড়া গ্রামের রাবেয়া বেগম (৪২) ও বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম (৩৫)। গ্রেপ্তারের সময় দুজনের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকাসহ তিনটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়েছে।
এর আগে রাবেয়া ও সাইফুলসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলে গত মঙ্গলবার নুরেজা বেগম (৫০) নামের এক নারী শেরপুর থানায় মামলা করেন। মামলার বাদী নুরেজা বেগম ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার লঙ্কাখোলা গ্রামের আবু জাহেদের স্ত্রী।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, এক মাস আগে সিলেটের জাফলংয়ে বেড়াতে গিয়ে নুরেজা বেগমের সঙ্গে রাবেয়া বেগমের পরিচয় হয়। এই পরিচয় সূত্র ধরে ৩ মার্চ রাবেয়া বেগম চার লাখ টাকার বিনিময়ে একটি গোপাল মূর্তি নুরেজা বেগমের কাছে বিক্রি করেন। ৪৬৫ গ্রাম ওজনের মূর্তিটি সোনা বলে নুরেজা বেগমের কাছে বিক্রি করেছিলেন রাবেয়া বেগম। পরে নুরেজা বেগম ময়মনসিংহের একটি সোনার দোকানে গিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন মূর্তিটি সোনার নয়। এরপর নুরেজা বেগম মঙ্গলবার শেরপুর থানায় রাবেয়া, সাইফুলসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে।
মামলা তদন্ত কর্মকর্তা শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাঈফ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার দুজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, নকল সোনার মূর্তি দিয়ে প্রতারণা করে তাঁরা নুরেজা বেগমের কাছ থেকে চার লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। পরে এই টাকা তাঁরা চক্রের ছয়জনের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। তবে গতকাল দিবাগত রাতে অভিযানের সময় রাবেয়ার কাছে থেকে ১০ হাজার ও সাইফুলের কাছে ৫ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, নকল সোনার মূর্তিটি এখন থানা–পুলিশের হেফাজতে আছে। এ ছাড়া প্রতারণা চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।