কুড়িগ্রামে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগ ত্রিমুখী সংঘর্ষে আহত ৩০
কুড়িগ্রামে আন্দোলনকারী, পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. জাফর আলী, সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলামসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশব্যাপী ছাত্র হত্যা, শিক্ষক ও ছাত্র গ্রেপ্তার, নিপীড়ন ও হয়রানির প্রতিবাদে মিছিলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিদের কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের মধ্যে আহত দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, সকাল থেকে কোটা আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনকারীরা দাদামোড় থেকে ঘোষপাড়ার দিকে অগ্রসর হলে ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দেন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশ লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এ সময় উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর বলে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। পরে আন্দোলনকারীরা শাপলা চত্বরের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেন এবং জেলা পরিষদে হামলা করে ভাঙচুর করেন।
এর আগে সকালে কুড়িগ্রাম পৌর বাজারের টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের কার্যালয়ের সামনে ছাত্রলীগের কর্মীরা দীপ্ত টিভির জেলা প্রতিনিধি ইউনুছ আলীকে লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসাসেবা নিতে আসা একজন গুলিবিদ্ধ ছিলেন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশ ও বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।