আগামীর নির্বাচন হওয়া উচিত সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন: জোনায়েদ সাকি
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আগামী নির্বাচন হওয়া উচিত সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন। জনগণ যাতে সমর্থন দেয় এই সংবিধানকে সংস্কার করে কীভাবে গণতান্ত্রিক সংবিধান বানানো যায়। তাহলে এ সংস্কার কেউ বদলাতে পারবে না। কারণ, জনগণের সমর্থনই সর্বোচ্চ।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বরিশাল নগরের সদর রোডের একটি মিলনায়তনে জেলা গণসংহতি আন্দোলনের ‘নির্বাচনের জন্য সংস্কার-সংস্কারের জন্য নির্বাচন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন জোনায়েদ সাকি। এরপর তিনি উপস্থিত ব্যক্তিদের নিয়ে ইফতারে অংশ নেন।
গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে ছয় মাসের মধ্যে সংবিধান সংস্কার শেষ করার প্রস্তাব দিয়েছেন উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন এবং একই সঙ্গে সরকার গঠনেরও নির্বাচন করার পক্ষে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের পর প্রথম থেকেই সরকার গঠন ও সংবিধান সংস্কারের কাজ শুরু হবে। অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মানুষের আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে নতুন বাংলাদেশ। এটা গড়তে হলে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, গণতান্ত্রিক সংবিধান ও রাষ্ট্র বিনির্মাণ। এসব গুরুত্বপূর্ণ তিন দাবি আদায়ে আমরা সবাইকে নিয়ে আগামী দিনে লড়াই করব।’
জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের অংশীজন ছাত্র-শিক্ষক, শ্রমজীবী, রাজনৈতিক দলসহ সবাই। তাই সবাই মিলে আমরা একটি সম্মিলিত জায়গায় যাতে আসতে পারি, সে বিষয়ে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। কেউ কেউ যদি বিষয়টিকে এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে যায়, তাহলে যে সংকটের জন্ম দেবে, তা আমাদের ফাঁদে ফেলবে। বিষয়টি ৫ আগস্টের পর থেকে আমরা বারবার বলেছি যে ন্যূনতম জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তুলুন। পার্থক্য আছে বলে আমাদের ঐক্যটা দরকার।’
বরিশাল জেলা গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী দেওয়ান আবদুর রশিদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মশিউর রহমান খান। সভা পরিচালনা করেছেন সংগঠনের জেলা শাখার নির্বাহী সমন্বয়কারী আরিফুর রহমান মিরাজ ও সদস্য হাসিব আহমেদ।