গাইবান্ধায় বিএনপির সম্মেলনে ভোটার ছিলেন ৪৫৯ জন, গণনায় পাওয়া গেল ৪৮৫টি ভোট
সম্মেলনে মোট ভোটার ছিল ৪৫৯ জন। কিন্তু গণনার সময় ভোট পাওয়া যায় ৪৮৫টি। প্রকৃত ভোটের তুলনায় ২৬টি ভোট বেশি পাওয়া যায়। পরে সম্মেলনের ফলাফল স্থগিত করা হয়। গত শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধা সদর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনে।
আজ সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি আবদুল আউয়াল। তিনি বলেন, ওই দিন ভোট গণনা শেষে দেখা যায়, ভোটারের চেয়ে ২৬টি ব্যালট বেশি। এ কারণে সম্মেলনের ফলাফল স্থগিত করা হয়।
গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে গাইবান্ধা সদর উপজেলার খোলাহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন শুরু হয়। সকালে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সদর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নুরুল আজাদ মণ্ডল। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক আনিসুজ্জামান খান। বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন নবী, সদর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন প্রমুখ।
দ্বিতীয় অধিবেশনে খোলাহাটি ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গ্রহণের জন্য ১১ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠিত হয়। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হয় জেলা বিএনপির সহসভাপতি আবদুল আউয়ালকে। তিনি অন্য সদস্যদের নিয়ে সকাল নয়টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করেন। মোট ভোটার ছিলেন ৪৫৯ জন।
খোলাহাটি ইউনিয়ন বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক মোস্তফা কামাল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হন। তবে সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য পদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ সম্পাদক পদে নোমান সরকার ও সাইদুর রহমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
ভোট গ্রহণ শেষে গণনার সময় ৪৮৫ ভোট পাওয়া যায়, যা বৈধ ভোটের চেয়ে ২৬টি বেশি। অসংগতি দেখা দেওয়ায় পরে সম্মেলনের ফলাফল স্থগিত করা হয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি আবদুল আউয়াল আরও বলেন, সঠিকভাবে ভোট গ্রহণ করা হয়। পরাজয় হবে ভেবে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর একজন হয়তো পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।