বদরগঞ্জে সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগে পুলিশের ৩ সদস্য প্রত্যাহার

বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আহত সাংবাদিক আব্দুস সালাম বিশ্বাস
ছবি: প্রথম আলো

রংপুরের বদরগঞ্জে আবদুস সালাম বিশ্বাস নামে এক সাংবাদিককে মারধর করার অভিযোগে পুলিশের তিন সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রয়েছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে তাঁদের প্রত্যাহার করার তথ্য নিশ্চিত করেছেন রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জান।
প্রত্যাহার করা পুলিশ সদস্যরা হলেন, এএসআই রবিউল আলম, কনস্টেবল আল আমিন হোসেন ও মজিবর রহমান। তাঁরা পুলিশ লাইনসে কর্মরত থাকলেও বদরগঞ্জ থানায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁদের প্রত্যাহার করে আবার পুলিশ লাইন্সে আনা হয়েছে।

তাঁদের প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জান বলেন, রংপুরের পুলিশ সুপারের নির্দেশে ঘটনাটি গুরুত্বসহ তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযুক্ত পুলিশের সদস্যকে প্রত্যাহার করে সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন সাংবাদিক আব্দুস সালাম বিশ্বাসকে দেখতে যান তিনি।

আব্দুস সালাম বিশ্বাস দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার বদরগঞ্জ প্রতিনিধি। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি তুলে ধরে বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক শাকির মুবাশ্বির জানান, আঘাতে সাংবাদিক আব্দুস সালাম বিশ্বাসের বাম পা কিছুটা ফুলে রয়েছে। তাঁকে এক্স–রে করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আব্দুস সালাম বিশ্বাস অভিযোগ করেন, গত বুধবার বেলা তিনটার দিকে তিনি বদরগঞ্জ থানার মুল ফটক থেকে ১০০ গজ দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় থানার ভেতর থেকে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান তাঁর সামনে এসে থামে। ওই পিকআপের ভেতরে থাকা পুলিশ সদস্যরা নিজেদের মধ্যে বাগবিতণ্ডায় লিপ্ত হয়। এই দৃশ্য তিনি মুঠোফোনে ধারণ করার সময় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে তাঁকে কিল ঘুষি মারেন। একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা সেখান থেকে তাঁকে চেংদোলা করে ধরে থানার ভেতরে নিয়ে যান।

খবর পেয়ে ওই সময়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা থানায় ছুটে গেলে বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আতিকুর রহমান ঘটনাটিকে অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের অপেশাদার আচরণ হিসেবে উল্লেখ করে দুঃখ প্রকাশ করেন। পরে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরাও ঘটনার জন্য ক্ষমা চান।