রাজনীতির পালাবদলে বদলে গেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাঞ্জাবির বাজারও
রাজনীতির পালাবদলে বদলে গেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঈদের পাঞ্জাবির বাজার। আওয়ামী লীগের নেতারা প্রকাশ্যে নেই, নেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত কিছু চালকলের মালিকও। ফলে এবার পাঞ্জাবির বাজারে আগের বছরগুলোর মতো উত্তাপ নেই। পাঞ্জাবি বিক্রেতাদের বক্তব্যেই উঠে এসেছে এমন কথা।
এই মার্কেটের কয়েকজন পাঞ্জাবি বিক্রেতা বলেন, প্রতিবছরই চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওদুদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা মোখলেসুর রহমান, ঢাকা রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি, শিবগঞ্জ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা সামিল উদ্দিন আহমেদ ওরফে শিমুল, গোলাম রাব্বানীসহ আরও অনেক রাজনৈতিক নেতা কর্মী-সমর্থকদের ঈদে পাঞ্জাবি উপহার দিতেন। এবার তাঁরা নেই। হয় আটক হয়েছেন, নইলে আত্মগোপনে আছেন। ফলে এবার পাঞ্জাবির বিক্রি অনেকটাই কম।
শুক্রবার রাতে নিউমার্কেটের পাঞ্জাবির দোকান ‘চাঁপাই স্টোর’–এর মালিক বলেন, এবার প্যাকেজ মাল বিক্রি করতে পারেননি। শুধু সিঙ্গেল বিক্রি করেছেন। এতে করে বিক্রি বেশি এগোয় না। প্যাকেজ বলতে কী বোঝাচ্ছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, একই দরে একসঙ্গে এক রকমের মাল বিক্রি বোঝায়। গত বছর কেবল গোলাম রাব্বানীর কাছেই দেড় শতাধিক পাঞ্জাবি বিক্রি করেছেন তিনি। এমন ১৫-২০ জনের কাছে তিনি প্যাকেজ মাল বিক্রি করেছেন গত বছরের ঈদে।
কথা হয় একই মার্কেটের এমআর গার্মেন্টসের মজিবুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, একসময় ঝাঁক বেঁধে রাজনৈতিক দলের কর্মীরা এসে পাঞ্জাবি ও শার্ট কিনে নিয়ে যেতেন। এবার সেটা নেই।
এই মার্কেটের ‘সাঈদ বয়েজ কালেকশন’ নামের দোকানের মালিক গোলাম মর্তুজা দিলেন আরেকটি তথ্য। থানার ওসিরাও স্লিপ পাঠিয়ে উপহারের পোশাক দিতে বলতেন রাজনৈতিক কর্মীদের। এবার সেটা নেই।
নিউমার্কেটে আসা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য লতিফুর রহমান কর্মীদের ঈদ উপহার দেওয়া প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এবার সে রকমভাবে দিচ্ছি না। তবে সাত-আটজনকে না দিয়ে পারা যায়নি। সবাইকে এক হাজার টাকা করে দিয়েছি পাঞ্জাবি কেনার জন্য।’
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম শুক্রবার রাতে বলেন, এখনো কর্মীদের ঈদ উপহার দেওয়া শুরু করেননি। দেখা যাক কী হয়!