দুই কর্মচারীর মারধরের অভিযোগে রাজশাহী চিনিকলে হামলা ও ভাঙচুর

রাজশাহী চিনিকলের প্রশাসন ভবনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। আজ সোমবার দুপুরেছবি: প্রথম আলো

রাজশাহী চিনিকলে চিনির দাম বেশি চাওয়ার প্রতিবাদ করায় এক ব্যক্তিকে দুই কর্মচারী মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে মারধরের শিকার ব্যক্তির লোকজন এসে চিনিকলের প্রশাসনিক ভবনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন। আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহী চিনিকলে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার ব্যক্তির নাম রফিকুল ইসলাম। মারধর করা দুই কর্মচারী হলেন ওজনদার মারফুল ইসলাম ও করণিক শাহীনুর রহমান।

রফিকুলের অভিযোগ, এক বস্তা (৫০ কেজি) চিনির দাম ৬ হাজার ২০০ টাকা। কিন্তু তিনি চিনি নিতে গেলে সাড়ে ৬ হাজার টাকা চাওয়া হয়। তিনি এর প্রতিবাদ করলে শাহীনুর ও মারফুল বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে তাঁকে মারধর করা হয়। এতে তাঁর চোখের নিচে জখম হয়। মার খেয়ে রফিকুল চিনিকল থেকে বের হয়ে বাসায় চলে যান। এ সময় তাঁকে রক্তাক্ত দেখে ‘এলাকার ছেলেরা’ চিনিকলে হামলা চালান। তিনি নিজে ওই হামলায় যাননি। আহত হওয়ায় চিকিৎসার জন্য তিনি রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

তবে করণিক শাহীনুর রহমান বলেন, ‘দুপুর ১২টার দিকে রফিকুল রেশনের এক মণ চিনি নিতে আসেন। এ সময় তাঁর কাছে চিনির দাম ছাড়াও বস্তার দাম বাবদ আরও ২০ টাকা চাইলে তর্কবিতর্ক শুরু করেন। এর জেরে রফিকুল ফোন করে তাঁর নিজ এলাকা শ্যামপুরের লোকজনকে ডাকেন। কিছুক্ষণ পর ১০ থেকে ১২ জনের একদল দুর্বৃত্ত এসে প্রশাসন ভবনে হামলা করে। এ সময় আমাকে ও ওজনদার মারফুলকে মারপিট করে। একপর্যায়ে শাহিনুর সেখান থেকে পালিয়ে গেলেও আমাকে রক্তাক্ত করে দুর্বৃত্তরা।’

চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ন কবীর বলেন, ‘হামলাকারীরা তিনতলা প্রশাসন ভবনের প্রতিটি তলাতেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কক্ষ ভাঙচুর করেছে। চেয়ার, টেবিল ও টেবিলের কাচ ভাঙা হয়েছে। সাতটি কম্পিউটার ও প্রিন্টার ভেঙে ফেলা হয়েছে। চিনি বিক্রির কিছু টাকাও লুট হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা দ্রুতই থানায় একটা অভিযোগ দায়ের করব। কেন এমন ঘটনা ঘটেছে, সেটা এখনই বলতে পারছি না। পুলিশ এসেছে, তদন্ত করছে।’

রাজশাহীর কাটাখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন বলেন, ‘আমরা এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। হামলার খবর শুনেই আমরা এসেছি। প্রাথমিক তদন্ত চলছে। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’