সৈয়দপুরে নৌকার প্রার্থী পেয়েছেন ৯৩ ভোট
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদ রানা ৭ হাজার ৪০৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাসিনা বেগম পেয়েছেন ৯৩ ভোট।
খাতামধুপুর ইউপিতে নৌকার ভরাডুবির বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা আফজাল হোসেন জানান, প্রার্থী নির্বাচন ঠিক হয়নি। প্রার্থী হাসিনা বেগমকে এলাকার মানুষ চেনেন না। ফলে যা হওয়ার, তা–ই হয়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদ রানা ছিলেন ব্যতিক্রম। গেল বার সামান্য ভোটে পরাজিত হন, এবার তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোখলেছুর রহমান ছিলেন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। মাসুদ রানাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হলে তিনি আরও বেশি ভোটে নির্বাচিত হতেন।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাসিনা বেগম বলেন, ‘আমার সঙ্গে বেইমানি করা হয়েছে। দলীয় নেতা-কর্মীর অনেকেই বিদ্রোহী প্রার্থীর হয়ে কাজ করেছেন।’
বিজয়ী বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদ রানা বলেন, ‘এই বিজয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। কারণ, আমি ও আমার পরিবার মনেপ্রাণে আওয়ামী লীগ।’
চতুর্থ ধাপে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে গতকাল রোববার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে বাঙালিপুর ইউনিয়ন নৌকার প্রার্থী শাহজাদা সরকার জয়ী হন। বাকি তিনটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও একটিতে জাকের পার্টির প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিন বলেন, মাসুদ রানার পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। খাতামধুপুরে রাজনৈতিক টানাপোড়েন আছে। মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকার ইস্যু রয়েছে। ফলে দুই পরিবার থেকে পালাক্রমে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার নজির রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মাসুদ রানাকে মনোনয়ন দেওয়ার সুপারিশ করেছিলাম। কিন্তু স্থানীয় আওয়ামী লীগের কিছু নেতা হাসিনা বেগমের পক্ষ নেন। ফলে আমাদের মাশুল দিতে হলো।’