সিলেট–সুনামগঞ্জে বন্যার্তদের জন্য সেনাবাহিনীর টোল ফ্রি নম্বর
ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে দেশের উত্তর–পূর্বাঞ্চলের জেলা সিলেট ও সুনামগঞ্জ। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, সিলেট বিভাগের বন্যা পরিস্থিতি আরও দু-তিন দিন ধরে অবনতি হতে পারে। উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতিরও দ্রুত অবনতি হওয়ার আশঙ্কা আছে।
কারণ, উজানে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বাংলাদেশেও বৃষ্টি চলছে। এ অবস্থায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সহায়তার জন্য টোল ফ্রি নম্বর চালু করেছে বাংলাদেশ সেনবাহিনী। আজ আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
নিচের নম্বরে বিনামূল্যে যোগাযোগ করা যেতে পারে
টোল ফ্রি নম্বরগুলো হলো গ্রামীণফোন: ০১৭৬৯১৭৭২৬৬, ০১৭৬৯১৭৭২৬৭, ০১৭৬৯১৭৭২৬৮, রবি: ০১৮৫২৭৮৮০০০, ০১৮৫২৭৯৮৮০০, ০১৮৫২৮০৪৪৭৭, বাংলালিংক: ০১৯৮৭৭৮১১৪৪, ০১৯৯৩৭৮১১৪৪, ০১৯৯৫৭৮১১৪৪, টেলিটক: ০১৫১৩৯১৮০৯৬, ০১৫১৩৯১৮০৯৭, ০১৫১৩৯১৮০৯৮ সহায়তার জন্য যারা ৩৩৩ এ ফোন করছেন তাদেরও সেনাবাহিনীর দেওয়া এসব নম্বরে যুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে।
সিলেট-সুনামগঞ্জে ব্যাপক বন্যার পরিপ্রেক্ষিতে এমন অবস্থায় পানিতে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারে জেলার তিন উপজেলায় সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে গতকাল শুক্রবার।
এ–সম্পর্কিত আরও পড়ুন
বিশেষজ্ঞ মত সিলেটে বন্যার ‘কারণ’ নদীর নাব্যতা–সংকট আর হাওরে অপরিকল্পিত বাঁধ
এত দ্রুত ‘পানি বাড়তে দেখেননি’, রাতের মধ্যেই ঘরে গলাসমান পানি
সিলেটে বন্যার পানি বেড়ে চলেছে। এখনো অনেক মানুষ পানিতে আটকা পড়ে আছে। তাদের উদ্ধারে এরই মধ্যে গতকাল শুক্রবার থেকে বিভিন্ন উপজেলায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছেন। সেনাবাহিনীর পাশাপাশি আজ শনিবার থেকে নৌবাহিনীর সদস্যরাও উদ্ধার তৎপরতায় যুক্ত হয়েছেন বলে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ছয়টার দিকে সিলেটের প্রধান নদী সুরমার কানাইঘাট ও সিলেট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় অন্যান্য নদ-নদীর পানিও বাড়ছিল।
সিলেট নগরের ২৫ থেকে ৩০টি এলাকায় হু হু করে পানি বাড়ছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে কয়েকটি এলাকায়। বাসাবাড়িতে হাঁটু থেকে কোমরসমান পানি। এদিকে কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, জৈন্তাপুর, দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও সিলেট সদর উপজেলায়ও পানি বেড়ে চলছে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন।