শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবির ঘটনায় পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গোর ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চ এমএল আশ্রাফ উদ্দিন ডুবে যাওয়ার ঘটনা তদন্ত করতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আজ বেলা দুইটার দিকে টার্মিনাল থেকে যাত্রীবাহী লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়। পথে লঞ্চটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন মালবাহী জাহাজ রূপসী-৯। এতে লঞ্চটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
ঘটনার পর বিকেলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আ ন ম বজলুর রশীদকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। একই ঘটনার তদন্তে প্রকৌশলী ও জরিপকারক ওবায়দুল্লাহ ইবনে বশিরকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নৌপরিবহন অধিদপ্তর। এই কমিটিকে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এদিকে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শামীম বেপারীকে আহ্বায়ক করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামীকাল সোমবারের মধ্যে এই কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
দুর্ঘটনার পর সাঁতরে তীরে ওঠা মো. আবু তাহের প্রথম আলোকে বলেন, রূপসী-৯ নামের কার্গোটি তাঁদের লঞ্চটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কার পর অন্তত ৫০ মিটার দূরে গিয়ে লঞ্চটি ডুবে যায়। এ সময় লঞ্চে অন্তত ৪০ যাত্রী ছিলেন বলে তিনি ধারণা করছেন।
নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি বদিউজ্জামান বলেন, বেলা দুইটার দিকে টার্মিনাল থেকে যাত্রীবাহী লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়। পথে লঞ্চটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন রূপসী-৯ কার্গো। এতে লঞ্চটি ডুবে যায়।