মোহাম্মদ আলীর বোনজামাই মনির হোসেন কাজ করতেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বিএম কনটেইনার ডিপোতে। তিনি ছিলেন ডেপুটির এলসিডি (ক্রেন) অপারেটর। গতকাল শনিবার রাত আটটার দিকে কাজে আসেন তিনি। মনির যেখানে কাজ করেন, তার কাছেই রাত নয়টার দিকে একটি কনটেইনারে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এরপর ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যে অপর কেমিক্যালভর্তি কনটেইনারে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে বোনজামাইয়ের খোঁজে ডিপো এলাকায় ছুটে আসেন শ্যালক মোহাম্মদ আলী। এর পর থেকে রাতভর ডিপো এলাকার সম্ভাব্য স্থানে তাঁকে খুঁজে চলেছেন। পরিচিতজন ও মনিরের সহকর্মীদের জিজ্ঞাসা করেছেন। কিন্তু কেউ সন্ধান দিতে পারেননি। এরপর খোঁজ নিতে থাকেন হাসপাতালগুলোয়।
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুনঃ
স্বামীর অপেক্ষায় স্ত্রী, বাবার অপেক্ষায় শিশুসন্তান
বিস্ফোরণে আহতরা বললেন, নতুন জীবন পেলাম
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৭
হতাহত ব্যক্তি উদ্ধার হলেই সাইরেন বাজিয়ে চলে যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স
আজ রোববার ভোররাত চারটার দিকে মোহাম্মদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, ছয় বছর ধরে মনির হোসেন বিএম কনটেইনার ডিপোতে কাজ করছেন। গতকালও কাজে যান যিনি। বিস্ফোরণের পর তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরিচিত অনেকেই তাঁকে দেখেছেন বলে জানালেও কেউ তাঁর সঠিক অবস্থান জানাতে পারেননি। মনিরের বাড়ি উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের ফকিরহাট এলাকায়।
শুধু মোহাম্মদ আলী নন, দুর্ঘটনাস্থলে অনেকেই তাঁদের স্বজনদের খুঁজছেন। এর মধ্যে নাজমা বেগম নামের এক নারী তাঁর ছেলে সোহেলকে খুঁজেছেন দিবাগত রাত তিনটা পর্যন্ত। কোনো খোঁজ না পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে তিনি বাড়ি ফিরে যান। সোহেল ডিপোতে শ্রমিকের কাজ করতেন।