কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন আঞ্জুম সুলতানা। তিনি সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য। আজ বুধবার বেলা একটার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে তিনি ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন।
আঞ্জুম সুলতানা কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে পরাজিত হন। তিনি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা আফজল খানের মেয়ে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আঞ্জুম সুলতানার মনোনয়ন ফরম জমাদানের ফলে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে হঠাৎ করেই নানা সমীকরণ দাঁড়াল। দলীয় মনোনয়ন পেলে তিনি সংরক্ষিত সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচন করবেন।
আওয়ামী লীগের একটি সূত্রে জানা গেছে, ৫ মে থেকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু হয়। আজ দলীয়ভাবে মনোনয়ন ফরম জমাদানের শেষ দিন। এতে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আঞ্জুম সুলতানা ও ওমর ফারুক, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সফিকুল ইসলাম শিকদার, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক নূর উর রহমান মাহমুদ, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক কবিরুল ইসলাম শিকদার, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক আনিসুর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সদস্য মাসুদ পারভেজ খানসহ অন্তত ১২ জন দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন।
১৩ মে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড দলীয় মেয়র প্রার্থী ঘোষণা করবে।
কুমিল্লার দুটি রাজনৈতিক পরিবার থেকে দুজন করে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন। তাঁরা হলেন আঞ্জুম সুলতানা ও তাঁর ভাই মাসুদ পারভেজ খান এবং সফিকুল ইসলাম শিকদার ও তাঁর ছোট ভাই কবিরুল ইসলাম শিকদার।
২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে আঞ্জুম সুলতানা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করে জয়ী হন। পরে প্যানেল মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ তিনি কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। জয়ী হন বিএনপির দলীয় প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র মনিরুল হক।
আঞ্জুম সুলতানা বলেন, ‘দলীয় নেতা-কর্মীদের চাপে শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিতে হয়েছে। দলীয় সভাপতি ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড আমার ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নেবে, আমি সেটা মেনে নিয়েই রাজনীতি করি, করব।’
ভাইয়ের মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার বিষয়ে আঞ্জুম সুলতানা বলেন, ‘ও তো আগে নিয়েছে। সবাই যখন নিল, ও নিল।’
রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ১৭ মে মনোনয়ন ফরম জমাদানের শেষ দিন। ১৫ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।