মঠবাড়িয়ায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের আরোহী নিহত
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় হানিফ পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় মো. হারুন শেখ (৫৪) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার মঠবাড়িয়া-চরখালী সড়কের মুসল্লিবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় হারুন শেখের নাতি লিমন শেখ (১৫) ও ছেলে মোটরসাইকেল চালক মো. আহসান শেখ (৩৫) গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহত হারুন শেখ পিরোজপুর সদর উপজেলার উত্তর রানীপুর গ্রামের মৃত আবদুল গফুর শেখের ছেলে। তিনি জেলা দায়রা জজ আদালতের অফিস সহায়ক পদে চাকরি করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ সকালে হারুন শেখ তাঁর ছেলে ও নাতিকে নিয়ে উপজেলার সাপলেজা গ্রামে ছেলের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। বেলা পৌনে ১১টার দিকে মঠবাড়িয়া-চরখালী সড়কের মুসল্লিবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে হানিফ পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব-১৪-৭২০২) একটি বাস পেছন থেকে তাঁদের ধাক্কা দেয়। এ সময় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন হারুন শেখ। গুরুতর আহত আহসান শেখ ও লিমন শেখকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি বাসের চালক মো. মাসুম (৩৯) ও চালকের সহকারী নুরুকে (৫০) আটক করেছে পুলিশ। আটক বাসচালক মাসুমের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামে এবং চালকের সহকারী নুরুর বাড়ি ঝালকাঠী সদর উপজেলার ভাড়াখানা গ্রামে।
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নূরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পর বাসের চালক ও চালকের সহকারীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত বুধবার সকালে একই সড়কের গুদিঘাটা এলাকায় বাসচাপায় মো. মিলন হাওলাদার (১৮) নামের এক কলেজশিক্ষার্থী নিহত হন। এ ঘটনায় বাসটিতে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। মিলন হত্যার বিচার চেয়ে তুষখালী মহিউদ্দিন মহারাজ কলেজের শিক্ষার্থীরা কলেজের সামনের সড়ক কয়েক ঘণ্টা অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেন।