দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সফিউল আযম চৌধুরী। এই প্রথম খানসামা উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান হিসেবে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী জয় পেলেন। সফিউল টানা ২৫ বছর শিক্ষকতা করেছেন। এর পাশাপাশি ১০ বছর ধরে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
গত বুধবার ভোট গ্রহণ শেষে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম প্রামাণিক বেসরকারিভাবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। সফিউল পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৭৪২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সহিদুজ্জামান শাহ (আনারস প্রতীক) পেয়েছেন ২৪ হাজার ৪৭১ ভোট। এ ছাড়া মোটরসাইকেল প্রতীকে জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য শরিফুল ইসলাম পেয়েছেন ২২ হাজার ৪৬২ ভোট এবং হেলিকপ্টার প্রতীকে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্বাস আরেফিন শাহ পেয়েছেন ২১৯ ভোট।
দলীয় কর্মীরা বলেন, ২০১২ সাল থেকে সফিউল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। টানা ২৫ বছর উপজেলার পাকেরহাট সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। ২০১৯ সালের ১৮ মার্চ পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী প্রার্থী’ আবু হাতেমের কাছে হেরে যান তিনি। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি শারীরিক অসুস্থতার কারণে আবু হাতেমের মৃত্যু হলে এ পদটি আবার শূন্য হয়ে যায়।
এদিকে বিরল উপজেলার বিজোড়া ও পলাশবাড়ি দুটি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। বিজোড়া ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৫ হাজার ৪৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আমজাদ হোসেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এরশাদুজ্জামান মোল্লা (মোটরসাইকেল প্রতীক) পেয়েছেন ৪ হাজার ৯২৫ ভোট।
তবে ভোট গ্রহণ শেষে ভোটে কারচুপির অভিযোগ এনে গত বুধবার রাতে বিজোড়া ইউপিতে এরশাদুজ্জামান মোল্লার সমর্থকেরা উপজেলা পরিষদ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে তাঁরা কার্যালয়ের বৈদ্যুতিক বাতি ভাঙচুর করেন। পরে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, মাত্র ১২৩ ভোটের ব্যবধানে মোটরসাইকেল প্রার্থীকে কৌশলে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে পলাশবাড়ি ইউপিতে আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) খায়রুল ইসলাম খোকন ৪ হাজার ৮৩৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলতাফ হোসেন (ঘোড়া প্রতীক) পেয়েছেন ৩ হাজার ৬২৮ ভোট।