পরিবারের অভিযোগ পেয়ে তরুণের বাড়িতে তল্লাশি, পাওয়া গেল কিশোরীর লাশ
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় এক তরুণের ঘর থেকে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার মোল্লাডাঙ্গী গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় সাব্বির হোসেন (২২) নামের ওই তরুণকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ ধারণা করছে, ওই কিশোরীকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে। নিহত কিশোরী উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
নিহত কিশোরীর পরিবারের সদস্যদের দাবি, ২ জুন সাব্বির কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে তার বাবাকে বলেন যে তিনি তাঁর মেয়েকে ভালোবাসেন। মেয়েকে তাঁর সঙ্গে বিয়ে দিতে হবে। জবাবে কিশোরীর বাবা জানান, তাঁর মেয়ে এখন ছোট। পড়াশোনা শেষ করার পর বিষয়টি ভাবা যাবে। তখন সাব্বির তাঁদের হুমকি দিয়ে ওই বাড়ি থেকে চলে যান।
কিশোরীর বাবা প্রথম আলোকে বলেন, ৬ জুন সন্ধ্যায় তাঁর মেয়ে নিখোঁজ হয়। সারারাত খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে গতকাল শুক্রবার তাঁরা নিশ্চিত হন মেয়েকে সাব্বিরের বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছে। এরপর রাত ১২টার দিকে পুলিশ ওই বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় সাব্বিরের বাবা, মা ও আত্মীয়স্বজন পুলিশকে নানাভাবে বাধা দেন। একপর্যায়ে রাত আড়াইটার দিকে তাঁর মেয়েকে ওই বাড়ির একটি কক্ষে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম বলেন, ওই তরুণের সঙ্গে কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিশোরী নিখোঁজ হওয়ার পর তার পরিবারের সদস্যরা যখন জানতে পারেন, কিশোরী সাব্বিরের বাড়িতে আছে। তখন তার ফুফা ও মামা ওই বাড়িতে যান। তবে কিশোরী তাঁদের সঙ্গে আসতে রাজি হয়নি। যেহেতু কিশোরীর বয়স কম, তাই তার পরিবারের অভিযোগ পেয়ে তাকে উদ্ধারের জন্য ওই বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ।
ওসি শহীদুল ইসলাম বলেন, ওই তরুণীর লাশ বিছানায় শোয়ানো অবস্থায় পাওয়া গেছে। তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না। তবে গলার দাগ দেখে মনে হচ্ছে, শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক সাব্বির পুলিশকে জানিয়েছে, কিশোরীর সঙ্গে তাঁর প্রেম ছিল। সে স্বেচ্ছায় তাঁর বাড়িতে আসে। কিশোরী নিজেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে মরদেহ খাটে শোয়ানো অবস্থায় পাওয়া গেছে জানালে পুলিশের প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি সাব্বির।