নড়িয়ায় তরুণকে কুপিয়ে হত্যা, ভগ্নিপতি গ্রেপ্তার

কুপিয়ে হত্যা
প্রতীকী ছবি

শরীয়তপুরের নড়িয়ায় ভগ্নিপতির বিরুদ্ধে শ্যালককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার রাতে উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের মূলপাড়া ছাপর আলী ব্যাপারীকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

নিহত তরুণের নাম মেহেদি হাসান (১৮)। তিনি ওই গ্রামের আলমগীর খানের ছেলে। আজ সোমবার দুপুরে মেহেদির বাবা বাদী হয়ে নড়িয়া থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় মেহেদির চাচাতো বোনের স্বামী আমির হোসেন ওরফে জামু খান ও সজ্জা আক্তার নামের এক নারীকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত আমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে।

নড়িয়া থানার পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মেহেদির চাচাতো বোনের সঙ্গে তাঁর স্বামী আমির হোসেনের দাম্পত্য কলহ চলছিল। এ বিষয় নিয়ে গতকাল রাতে বাড়ির উঠানে সালিস বৈঠক চলছিল। সেখানে আমির তাঁর স্ত্রীকে গালিগালাজ করে মারধর করতে উদ্যত হন। বিষয়টির প্রতিবাদ করেন মেহেদি। এতে আমির ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেহেদিকে কুপিয়ে আহত করেন। পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে নড়িয়া উপজেলা সদরে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাঁকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

মামলায় মেহেদির চাচাতো বোনের স্বামী আমির হোসেন ওরফে জামু খান ও সজ্জা আক্তার নামের এক নারীকে আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। রাতেই অভিযান চালিয়ে গ্রাম থেকে আমিরকে আটক করা হয়। পরে হত্যা মামলা দায়েরের পর তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

মেহেদির বাবা আলমগীর খান বলেন, ‘আমার ছেলে ওয়ার্কশপে কাজ করত। কারও সঙ্গে ঝগড়া করত না। আমার ভাইয়ের মেয়ের সঙ্গে তার স্বামী আমিরের নারীঘটিত বিষয় নিয়ে ঝগড়া হচ্ছিল। এর প্রতিবাদ করায় ক্ষুব্ধ হয়ে আমির আমার ছেলেকে হত্যা করেছে।’

নড়িয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবির হোসেন বলেন, মেহেদি হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরেক নারী আসামি আছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।