নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে ভারতের পণ্যবাহী ট্রাকচালক ও সহকারীরা ট্রাক থেকে নামছেন। এতে ট্রাকচালক ও সহকারীদের মাধ্যমে করোনার ভারতীয় ধরন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার বেলা দেড়টা থেকে তিনটা পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দরের শুল্কস্টেশনে অবস্থান করে এ দৃশ্য দেখা গেছে।
হিলি স্থলবন্দরে অবস্থান করে দেখা গেছে, ভারতের পণ্যবাহী ট্রাকগুলো হিলি স্থলবন্দরে প্রবেশ করেই শুল্কস্টেশনে এসে থামছে। এসব ট্রাকের চালক ও সহকারীরা নিচে নেমে নিজেরাই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র শুল্কস্টেশনে দেখাচ্ছিলেন। শুল্কস্টেশনের সামনে সাংবাদিকদের ছবি তোলা দেখে এক ব্যক্তি ভারতীয় ট্রাকচালকদের কেবিনের ভেতর থেকে নামতে বারণ করছিলেন। তবুও ট্রাকচালক ও সহকারীরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতে নিয়ে শুল্কস্টেশনের কাউন্টারে আসছিলেন।
কাগজপত্র হাতে নিয়ে শুল্কস্টেশনের কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ভারতীয় পণ্যবাহী একটি ট্রাকের চালক নিজেকে বাবর আলী পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘শুল্কস্টেশনে চালানের কাগজপত্র না দেখালে পোর্টে (বন্দরে) যেতে পারব না। এ কারণে নিজেই ট্রাক থেকে নেমে এসে কাগজ দেখাচ্ছি।’
শুল্কস্টেশনের কাউন্টারে থাকা সেপাই আরিফ বলেন, সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আজ বেলা ৩টা পর্যন্ত ৯১টি পণ্যবাহী ট্রাক হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশ করেছে।
জানতে চাইলে হিলি স্থলবন্দর শুল্কস্টেশনের উপ–কমিশনার সাইদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ভারতে করোনাভারাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় স্থলবন্দরে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকগুলোর চালকেরা ওঠানামা করতে পারবে না। এ ছাড়া তাঁরা বাংলাদেশে অবস্থানও করতে পারবেন না। বন্দরে মালামাল খালাসের সময় ভারতীয় ট্রাকচালকের জন্য আলাদা শৌচাগারের ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকচালক ও তাঁদের সহকারীরা ওঠানামা করছে, এমন প্রশ্নে সাইদুল আলম বলেন, ভারতীয় ট্রাকচালকদের কাছ থেকে কাগজপত্র নেওয়ার জন্য আলাদা লোক রাখা হয়েছে। ট্রাকচালক ও সহকারীদের কাউকে নিচে নামতে দেওয়া হবে না।