নকলায় ১০ মাসের শিশুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার, মামা আটক

শেরপুর জেলার মানচিত্র

শেরপুরের নকলা উপজেলায় ১০ মাস বয়সী এক শিশুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার পাঁচকাহনীয়া গ্রামের একটি গোয়ালঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করে শিশুটির পরিবার ও স্থানীয় লোকজন। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শিশুটির মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় শিশুটির মামা মো. জিহাদ হোসেনকে (১৮) আটক করে পুলিশ।
নিহত ওই শিশুটির নাম আরিয়ান। সে নকলা উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের পূর্বলাভা খন্দকার বাড়ির সজল মিয়া ও আইরিন বেগমের ছেলে। আর গ্রেপ্তার জিহাদ হোসেন আইরিন বেগমের চাচাতো ভাই।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কয়েক দিন আগে আইরিন বেগম তাঁর শিশুপুত্র আরিয়ানকে নিয়ে উপজেলার পাঁচকাহনীয়া গ্রামে বাবা আইয়ুব আলী মাস্টারের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। গতকাল দুপুরে আরিয়ানের মামা (মায়ের চাচাতো ভাই) জিহাদ হোসেন শিশুটিকে কোলে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সে বাড়ি না ফেরায় খুঁজতে শুরু করেন স্বজনেরা। খুঁজে না পাওয়ায় এলাকায় মাইকিংও করা হয়। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে গতকাল সন্ধ্যায় আইয়ুব আলী মাস্টারের বাড়ির গোয়ালঘরে মুখ বন্ধ অবস্থায় একটি বস্তা দেখতে পান পরিবারের লোকজন। পরে এলাকাবাসী ওই বস্তা খুলে শিশু আরিয়ানকে দেখতে পেয়ে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ সময় হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান তাকে (আরিয়ান) মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে নকলা থানার পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ থেকে আরিয়ানের লাশ উদ্ধার করে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গতকাল গভীর রাতে জিহাদ হোসেনকে আটক করে।

নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান আজ সোমবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মামা জিহাদ হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। সুরতহাল প্রতিবেদনে মৃত শিশুটির শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি। তবে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক জিহাদ শ্বাসরোধের মাধ্যমে আরিয়ানকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। আরিয়ানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে।