‘দেশে প্রতিদিন পানিতে ডুবে ৩০ শিশু মারা যায়’
দেশে প্রতিদিন পানিতে ডুবে ৫০ জনের মৃত্যু হয়। তার মধ্যে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর সংখ্যা ৩০। আজ শনিবার হবিগঞ্জ শহরে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু-বিষয়ক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তারা এসব তথ্য তুলে ধরেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে দুই দিনব্যাপী ওই কর্মশালার আয়োজন করে গণমাধ্যম ও উন্নয়ন যোগাযোগ সংগঠন ‘সমষ্টি’। কর্মশালায় হবিগঞ্জের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মাধ্যমের ২৫ জন সাংবাদিক অংশ নেন। আয়োজনে সহযোগিতায় ছিল গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর।
কর্মশালায় জানানো হয়, প্রতিবছর পানিতে ডুবে বাংলাদেশে ১২ হাজার শিশু মারা যায়। পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুতে বাংলাদেশ বিশ্বে শীর্ষে আছে। এসব মৃত্যু রোধে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। যদিও পানিতে ডুবে মৃত্যুর সব তথ্য গণমাধ্যমে আসে না। এ নিয়ে জাতীয় ও স্থানীয়ভাবে কোনো কার্যকর তথ্য ব্যবস্থাপনা এখনো গড়ে ওঠেনি। এ ছাড়া গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলো শুধু ঘটনাকেন্দ্রিক হয়ে থাকে। এ নিয়ে অনুসন্ধানী বা ব্যাখ্যামূলক প্রতিবেদন করার সুযোগ আছে। গণমাধ্যমকর্মীদের এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
কর্মশালাটি সকাল নয়টায় শুরু হয়ে চলে বেলা তিনটা পর্যন্ত। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের কান্ট্রি লিড মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস, যোগাযোগ ব্যবস্থাপক সারোয়ার ই আলম এবং ‘সমষ্টি’র পরিচালক ও চ্যানেল আইয়ের জ্যেষ্ঠ বার্তা সম্পাদক মীর মাসরুর জামান। আগামীকাল রোববার কর্মশালাটি শেষ হবে।
প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া সংবাদকর্মী নুরুল ইসলাম ওরফে মনি প্রথম আলোকে বলেন, তিনি জানতেন, দেশে নিউমোনিয়া বা ডায়রিয়ায় সবচেয়ে বেশি শিশুর মৃত্যু হয়। আজ কর্মশালায় জেনেছেন, পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যুহার অনেক বেশি। মানুষকে সচেতন করতে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের আরও প্রতিবেদন করা প্রয়োজন।
সমষ্টির পরিচালক মীর মাসরুর জামান বলেন, পানিতে ডুবে মারা যাওয়া শিশুদের মধ্যে অধিকাংশেরই বয়স ৫ বছরের নিচে। গবেষণায় দেখা গেছে, সকাল নয়টা থেকে বেলা একটার মধ্যে শিশুরা এই মৃত্যুর শিকার হয়। এ সময় বাড়ির লোকজন সংসারের বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকেন। তখনই শিশুরা দুর্ঘটনার শিকার হয়। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সচেতনতার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।