টিকা দিতে লাইনে দাঁড়াতে বলায় চিকিৎসককে মারধর, ৩ যুবলীগকর্মী গ্রেপ্তার
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় শিশুকে টিকা দিতে এক নারীকে লাইনে দাঁড়াতে বলায় চিকিৎসককে মারধর ও নার্সকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন যুবলীগ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন আলামিন মিয়া (৪৫) এবং তার দুই সহযোগী আনোয়ার হোসেন (৪৭) ও রুবেল মিয়া (৩৮)। তাঁরা উপজেলা যুবলীগের কর্মী।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ বিকেলে নগরকান্দা পৌরসভার সাবেক মেয়র প্রয়াত রায়হান উদ্দিন মিয়ার মেয়ে তাঁর শিশুসন্তানকে নিয়ে টিকা দিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। সেখানে ভিড় থাকার কারণে নার্স রেখা খানম শিশুটির মাকে লাইনে দাঁড়াতে বলেন। এতে তিনি রাগান্বিত হয়ে তাঁর ভাই আলামিন মিয়াকে ফোন করেন। পরে ১০–১২ জন যুবলীগ-ছাত্রলীগের কর্মী নিয়ে আলামিন মিয়া সেখানে আসেন। এ সময় সেখানে নার্স রেখা খানমকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। পরে ঘটনাস্থলে চিকিৎসা কর্মকর্তা জ্যোতিময় চৌধুরী এলে তাঁকে মারধর করা হয়। এ সময় অফিস সহকারী ইখলাছ হোসেন মুঠোফোনে ভিডিও ধারণের চেষ্টা করলে তাঁকেও পেটানো হয়। খবর পেয়ে নগরকান্দা থানা–পুলিশ এসে তিনজন গ্রেপ্তার করলেও বাকিরা পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় চিকিৎসা কর্মকর্তা জ্যোতিময় চৌধুরী বাদী হয়ে নগরকান্দা থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
জ্যোতিময় চৌধুরী বলেন, ঘটনার আকস্মিকতায় তিনি হতবিহ্বল হয়ে পড়েছেন। সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এমন হামলার ঘটনা ঘটতে পারে, তা তাঁর ভাবনার বাইরে।
এ বিষয়ে নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. সোহেল রানা বলেন, হামলার ঘটনায় করা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাম-রুবেলা টিকাদানের কর্মসূচি চলাকালে হামলার ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানান ফরিদপুরের সিভিল সার্জন মো. ছিদ্দীকুর রহমান। হামলার খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।