কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষে নিহত ৪

কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়। আহতদের জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছেছবি: প্রথম আলো

ঈদের আগের দিন কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন। তাঁদের মধ্যে ৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

আজ সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের আস্থানগর গ্রামে সংঘর্ষে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম চারজন নিহতের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন আস্থানগর গ্রামের কাশেম আলী (৫০), লাল্টু মণ্ডল (৩০), রহিম মালিথা (৫০) ও মতিয়ার মণ্ডল (৪০)।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের দেওয়া তথ্যমতে, ঝাউদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কেরামত উল্লাহ এবং আওয়ামী লীগ-সমর্থিত সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ফজলুর রহমানের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কেরামত উল্লাহ ও ফজলু মণ্ডলের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় বিকেল পাঁচটার দিকে দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়।

নিহতদের মধ্যে তিনজন ফজলু মণ্ডলের এবং একজন কেরামত উল্লাহর সমর্থক বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত ব্যক্তিদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ স ম আখতারুজ্জামান মাসুম বলেছেন, ঝাউদিয়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বিরাজমান সামাজিক দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এটা কোনো দলীয় সংঘর্ষ নয়।

পুলিশ সুপার খাইরুল আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গেছেন। ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, সংঘর্ষে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।